জীবনের অর্ধশতক পার করা কিংবদন্তী ক্রিকেটারের প্রতি তাঁর সেই শ্রদ্ধাঞ্জলি নজর কেড়েছে চিত্রকলা বিভাগে। নজর কেড়েছে কুমড়োর দানায় আঁকা মণীষীদের মুখও। পেন্সিল কিংবা তুলি- রং কে ঘিরে নিজের দিনযাপনের কাহিনী বিশদে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার চিত্রশিল্পী গোপাল দাস। জঙ্গলমহলের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে নানান প্রতিভা। কখনও কখনও সেগুলি এ প্রকাশ্যে আসে, আবার কখনও সেগুলি সুপ্ত অবস্থায় থাকে। ঝাড়গ্রামের উত্তর বামদার মিনিয়েচার শিল্পীর ক্ষেত্রেও সেই একই ধারা।
advertisement
আরও পড়ুন : পোস্টমাস্টার থেকে লোকসংস্কৃতির প্রহরী! হারানো গান, নাচ আর লোকনাট্য ফিরে পেল জীবন
নিজের ভাল লাগার মিনিয়চারের কাজ করা ছাড়াও, সংসারের হাল ফেরাতে চাহিদামতো ছবিও আঁকেন ঝাড়গ্রাম জেলার সদর শহরের এই চিত্রশিল্পী। তিনি কখনও সেভাবে নিজেকে প্রচারের আলোতে আনেন নি। পরিবারিক নানান আর্থিক সংকট সত্বেও, তাঁর ছবি আঁকা-শেখার কাজে ছেদ পড়েনি, বরং উৎসাহ জুগিয়েছেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। বর্তমানে একটু থিতু হতেই, তাঁদের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন চিত্রশিল্পী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গীতার রাণী মাথায় রেখেই তাঁর শিল্পকলা ফুটিয়ে তুলছেন গোপাল। টুকটাক কিছু স্বীকৃতি পেলেও এখন নজর কাড়তে পারেন নি জেলা প্রশাসন কিংবা রাজ্য প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিদের। আঁকার একটা স্কুলও খুলেছেন গোপাল। জীবন-জীবিকাকে ব্যালেন্স করার তাগিদে এই উদ্যোগ। রেখাচিত্র নামের সেই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০০ পার করেছে। তাছাড়াও অনলাইনেও কিছু ক্লাস করান তিনি। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে নিজেকেও আপডেট রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন জঙ্গলমহলের চিত্রশিল্পী গোপাল দাস।