টানা ৪৮ ঘন্টার বাঘবন্দি অভিযানে লাগাতার পটকার আওয়াজ ও হুলা পার্টির চিল চিৎকারে রীতিমতো বিরক্ত হয়েই সোমবার ভোরে ঝাড়খণ্ডে ফিরে যায় এই বাঘটি। ঠিক যে পথ দিয়ে সে বাংলায় এসেছিল সেই পথ ধরেই দলমা অভয়ারণ্য লাগোয়া জামশেদপুর বনবিভাগের ঘাটশিলা বনাঞ্চলে প্রবেশ করে এই বাঘটি। পর্যটক ভরা ঘাটশিলায় এখন রয়্যাল বেঙ্গলের বিচরণ। আশঙ্কায় বনবিভাগ।
advertisement
ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ সুত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকাল পর্যন্ত ঘাটশিলা বনাঞ্চলের কালাঝোর এলাকায় রয়েছে ওই রয়েল বেঙ্গল। মিলেছে তার পায়ের ছাপ। মানুষজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। চলছে নজরদারি। ওই রয়েল বেঙ্গলের পায়ের ছাপ খুঁজে রুট ম্যাপ তৈরি করেছে বনদফতর।
তবে বাংলায় বাঘের ফাঁড়া এখনও পুরোপুরি কাটেনি। বর্তমানে রয়েল বেঙ্গল যে জঙ্গলে রয়েছে বাংলা থেকে তার দূরত্ব মাত্র ৭-৮ কিলোমিটার। দিন কয়েক ধরে সে বারবার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের কাছে ভাঁড়ারি ও যমুনা গোড়াতেই ফিরে আসছিল। সেই এলাকায় ২ দিন ধরে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তার ছবি।
আরও পড়ুন: ৭ দিন পরেই শুক্রের গোচর! কপাল খুলে যাবে ৩ রাশির, ধনসম্পদের বন্যা, সাফল্য হাতের মুঠোয়
ফলে এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না বাংলার বনকর্তারা। এ বিষয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিশেষজ্ঞদের দাবি, জিনাতকেই খুঁজছে তার পুরুষসঙ্গী। জিনাতের ফেলে আসা পথে বার বার তার ঘুরে বেড়ানো এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযান না হলে হয়তো ওই রয়্যাল বেঙ্গল রাইকা পাহাড় ও পাহাড়তলিতেই থাকতবলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) সিঙ্গরম কুলান ডাইভেল বলেন, জিনাতের পথ ধরে যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি বাংলায় এসেছিল। সে আবারও ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়েছে। অভিযান আপাতত বন্ধ হলেও ৭২ ঘন্টা নজরদারি চলবে। কারণ সে যে জিনাতের পথ ধরে আবারও বাংলায় ফিরবে না তা নিয়ে নিশ্চিত নন তারা। তবে আপাতত এই রয়েল বেঙ্গল যে বাংলা ছেড়েছে তাতে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে বাংলার বনবিভাগ। তবে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি