স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত বাড়লেই বেড়ে চলে পণ্যবাহী গাড়ির দৌরাত্ম! বিভিন্ন বড় বড় ডাম্পার সহ লরি রাস্তা দিয়ে চলে বেপরোয়া গতিতে। তার ওপর দুই গাড়ির রেষারেষির ফল নিত্যদিনের দুর্ঘটনা। অন্ধকার নামলেই রাস্তায় কার্যত রাজত্ব চলে বড় বড় পণ্যবাহী গাড়িগুলির। গত রবিবার একদিনেই হুগলির শুধু আরামবাগে দুইটি পৃথক দুর্ঘটনা মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। একজন বাইক আরোহী, অন্যজন গাড়িচালক। তবে দুই দুর্ঘটনার পিছনেই রয়েছে পণ্যবাহী গাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন: থাকা, তিনবেলা খাওয়াদাওয়া সব বিনামূল্যে! ৫০ জন গৃহহীন মানুষ পেলেন নতুন জীবন
রবিবার ভোর বেলায় হুগলির কামারপুকুরে এক যুবকের মৃত্যু হয় ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে। বাইক আরোহী রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে ফিরছিলেন সেই সময় কামারপুকুর সিনেমা চলার কাছে একটি ডাম্পার সামনে থেকে এসে ধাক্কা মেরে তার চাকায় পিষে দিয়ে চলে যায় বাইক আরোহীকে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম তপন দাস। অন্যদিকে রবিবার রাতেই একটি মারুতি গাড়িকে ধাক্কা মারে ডাম্পার! ডাম্পারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালক ২৮ বছর বয়সী নারায়ণ দাসের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মত অনুযায়ী, আরামবাগের বিভিন্ন রাস্তায় নিত্যদিন দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। বড় বড় পণ্যবাহী গাড়িগুলি লাগামছাড়া গতিতে যাতায়াত করছে। যার ফলে নিত্যদিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। রাত হলে মানুষজন বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ির দৌরাত্মের জন্য। প্রশাসনের কাছে তারা দাবি জানিয়েছেন, যাতে গাড়ির চালকদের সচেতন করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল না করে সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যাতে প্রাণ বাঁচে সাধারণ মানুষদের।
রাহী হালদার





