ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের ইছামতি, কালিন্দী, গৌড়েশ্বর-সহ বিভিন্ন নদীর বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে, বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটলও দেখা দিয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর, বোলতলা শ্মশানঘাট, মালেকান ঘুমটি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে।
advertisement
তবে বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে তৎপর প্রশাসন। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসন, সেচ দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঝড়ের তাণ্ডবলীলায় বিদ্যুৎহীন গোটা এলাকা। ইতিমধ্যে জেনারেটর, জেসিবি মেশিন দিয়ে রাত জেঙে বাঁধ সারাই-এর কাজে হাত লাগাল প্রশাসন, যোগ দিয়েছেন এলাকার মানুষও।
বারবার প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সুন্দরবন এলাকা। আর সুন্দরবন এলাকার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ দুর্বল নদীবাঁধ। বিগত দিনে আমফান, ইয়াস ও আয়লার মতো প্রাকৃতিক রোষে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন অঞ্চল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীবাঁধ। বিপন্ন হয়েছে সুন্দরবনের সামাজিক জীবন। ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডবের প্রাথমিক অবস্থাতেই কার্যত নদীবাঁধ ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ। তবে ফের কি আবার একটি ভয়ানক রাত দেখতে চলেছে সুন্দরবনবাসীরা? কপালে চিন্তার ভাঁজ এলাকার মানুষের।
জুলফিকার মোল্যা