TRENDING:

Park Circus Firing Update: পরিবারের হাল ধরেছিলেন, কনস্টেবলের গুলিতে লড়াই শেষ হাওড়ার রিমার

Last Updated:

রিমার বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন৷ সংসারের হাল ধরতে রিমাও চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হাওড়া: রোজকার মতো অফিসে বেরিয়েছিলেন বাড়ির মেয়ে৷ কিন্তু এমন অপ্রত্যাশিত খবর যে আসবে, তা কেউ ভাবতে পারেননি৷ শুক্রবার দুপুরে পার্ক সার্কাসের কাছে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের এলোপাথারি গুলিতে প্রাণ গেল হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা রিমা সিংহের৷
পার্ক সার্কাস কাণ্ডে নিহত রিমা সিং৷
পার্ক সার্কাস কাণ্ডে নিহত রিমা সিং৷
advertisement

পরিবারের সূত্রে খবর, সংসারের হাল ধরতেই বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নিয়েছিলেন রিমা৷ এ দিনও বেলা বারোটার পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি৷ সাধারণত অফিসের কাজে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হত৷ এ দিনও অফিসের কাজেই পার্ক সার্কাস এলাকায় গিয়েছিলেন রিমা৷ অ্যাপ বাইকে চড়ে যাওয়ার সময়ই কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল চড়ুপ লেপচার ছোড়া গুলি এসে লাগে রিমার মাথার পিছন দিকে৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷

advertisement

আরও পড়ুন: ছুটি থেকে ফিরেই পার্ক সার্কাসে তাণ্ডব, জানা গেল সেই পুলিশকর্মীর পরিচয়

ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই পশ্চিম দাসনগরের ফকির মিস্ত্রি বাগান লেনে শোকের ছায়া৷ এখানেই প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাবা-মা এবং ভাইকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন রিমা৷

আরও পড়ুন: ইনসাস হাতে এক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি, তার পরেই এলোপাথারি গুলি! কী ঘটল পার্ক সার্কাসে?

advertisement

রিমার বাবা অরুণ সিংহ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন৷ কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি ঠিক মতো কাজ করতে পারেন না৷ ভাইও গতবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন৷ ফলে সংসারের হাল ধরতে রিমাও চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ বলা ভাল, তাঁর উপরই ছিল সংসারের মূল ভার৷

কিন্তু সেই চাকরি করতে গিয়েই যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে তাঁর, তা ভাবতেও পারছেন না রিমার পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা৷ রিমার বাবা- মায়ের আশা, মেয়ে হয়তো শেষ পর্যন্ত তাঁদের কাছে ফিরে আসবেন৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুনর্মিলনে দিঘার সরকারি স্কুল ভরিয়ে দিলেন ৩০ বছর আগের পড়ুয়ারা, আহ্লাদে আটখানা খুদেরা
আরও দেখুন

রিমা ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ওই কনস্টেবলের ছোড়া গুলিতে দু' জন আহত হয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন কলিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ বসির আলম নোমানি (৪৮)৷ তাঁর ডান কাঁধে গুলির ক্ষত রয়েছে৷ তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল৷ এ ছাড়াও মহম্মদ সরফরাজ আলম নামে ১৯ বছরের এক যুবকের দু' হাতেও গুলির বারুদের আঘাত রয়েছে৷ কয়েকদিন আগেই বিহার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিল সে৷ দু' জনকেই এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Park Circus Firing Update: পরিবারের হাল ধরেছিলেন, কনস্টেবলের গুলিতে লড়াই শেষ হাওড়ার রিমার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল