নদিয়ার শান্তিপুরে আছে একটি সরকারি মহকুমা হাসপাতাল। এখানে উন্নত পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও একাধিক বিরল থেকে বিরলতম রোগের চিকিৎসা ও অস্ত্রপোচারের খবর নানান সময়ে উঠে এসেছে শিরোনামে। এখানকার চিকিৎসকরা নিজেদের কাজে খুবই পারদর্শী এবং ধন্বন্তরি বলে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। তবে এই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বা নার্সিং স্টাফরা এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন কখনও হননি বলে আমাদের জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: রাত দখল করতে পথে মহিলাদের জনস্রোত, হাল ফেরাতে কী কী বললেন তাঁরা?
শান্তিপুর হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট প্রতিমা ঘোষ বলেন, আমি আমার সার্ভিস লাইফে এত বড় ঘটনার সম্মুখীন এর আগে হইনি। তবে আজ যেটি আরজি করে হয়েছে মহিলা হিসেবে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। এই হাসপাতালে আমি দু’বছর আগে এসেছি, এখানে তেমন কোনও বড়সড় ঘটনা ঘুরতে দেখিনি। যদি কোনও ছোট বড় ঘটনা আমার চোখের সামনে ঘটে, সেটি সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। তাঁরাই সেটির সমাধান করার ব্যবস্থা করেন। আমরা যে কাজটি করি তাতে রোগীদের জীবন নির্ভর করে। অনেক সময় কোনও মুমূর্ষু রোগী এলে পরে তাঁদের পরিবারের লোকেদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে না। এতে অনেক সময় খারাপ পরিস্থিতি দেখা দেয়, তবে আমরাও সহনশীলতার সঙ্গে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করি। ফলে তেমন বাড়াবাড়ি কিছু হয় না। বরং পরে ভুল বুঝতে পেরে সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীদের জন্য সরকার থেকে কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই আবাসন থেকে হাসপাতাল আসার রাস্তাগুলি কতটা সুরক্ষিত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সমস্ত জায়গাতেই ভাল-মন্দ মিশিয়ে থাকে। সেগুলো সবাই মিলে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করি। হাসপাতাল থেকে কোয়ার্টার অনেকটাই দূরে। তবে আজ পর্যন্ত তেমন কোনও লাঞ্ছনা বা অন্য কোনও অভিযোগ আমি পাইনি। তা সত্ত্বেও সকলেরই বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।
শান্তিপুর হাসপাতালের সহকারী সুপার সোমা দাস বলেন, যেহেতু আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট, তাই আমাদের অনেক সময় নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে। আমি মানুষ হিসেবে চাইছি যেই পরিষেবা আমরা এখানে দিয়ে থাকছি, তাতে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক। বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বিগুণ হলে সকলের মঙ্গল হবে। শুধু মহিলা বলে নয়, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।
মৈনাক দেবনাথ