অন্যান্য বার শব্দ বাজির দাপট দেখা যায় মহালয়ার আগের রাত থেকেই। মহালয়ার ভোরে মহিষাসুরমর্দিনী শুরুর সময় ব্যাপক সংখ্যায় শব্দ বাজির ব্যবহার নিয়ম মাফিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এবার মহালয়ায় সেভাবে শব্দবাজি পোড়ানো হয়নি। পুজোর দিন গুলিতেও সেভাবে শব্দবাজির দাপট ছিল না বললেই চলে। শব্দবাজি সেভাবে ব্যবহার না হওয়ায় খুশি শান্তি প্রিয় সচেতন বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নেই একডালিয়া, টালা! একাধিক গাইডলাইন পুলিশের, এক নজরে রেড রোড পুজো কার্নিভাল
আরও পড়ুন: 'হাতিয়ার' সিঙ্গুর! নভেম্বরে 'বড়' প্ল্যান! পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোমর বাঁধছে বিজেপি শিবির
শহরের বাসিন্দারা বলছেন, ছোটবেলায় পুজোর জামা কাপড়ের পাশাপাশি বাজি মজুত করার একটা বাড়তি আগ্রহ থাকত। কালিপটকা থেকে শুরু করে দোদমা, চকলেট বোম ছাড়া পুজো ভাবা যেত না। বন্দুক এবং ক্যাপ থাকতো সব শিশু কিশোরের কাছেই। এখন কিন্তু সেই চলটা আর নেই। এখন শিশুরা মোবাইল মুখী। ভিডিও গেম মোবাইল গেমে ব্যস্ত তারা। অনেকেই কার্টুন দেখে সময় কাটায়। বাজি তাদের সেভাবে টানে না। সে কারণে পাড়ার দোকানেও আর সেভাবে বাজির পসার লক্ষ্য করা যায়নি এ বার।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, গত বছর শব্দ বাজি বিক্রির অভিযোগে বেশ কয়েকজন দোকানদারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ বারও পুজোর আগে শব্দবাজির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলেছে। ঝক্কি এড়াতেই অনেক ব্যবসায়ী আর শব্দবাজি কারবার করছে না। সেসব কারণেই এবার শব্দবাজির ব্যবহার তেমন দেখা যায়নি। আতশবাজিও বিক্রি হয়েছে অনেক কম।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গা পুজোর মতোই কালী পুজোকেও শব্দবাজি মুক্ত রাখতে জোর তৎপরতা চালানো হবে। কারণ কালী পুজোয় প্রচুর শব্দ বাজির ব্যবহার হয়।এবার যাতে দেদার শব্দবাজি বাসিন্দাদের হাতে না পৌঁছাতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকা হবে। শব্দবাজি বিক্রি বন্ধে অভিযান চালানো হবে। তবে আশার কথা, বাসিন্দারা এখন অনেক সচেতন। সেই সচেতনতার হাত ধরেই শব্দ দানবকে বধ করা যাবে।