পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে পৌঁছতে গেলে প্রথমে কাটোয়া মহকুমার কালিকাপুর ঘাট পর্যন্ত যেতে হয়। সেখান থেকে ভাগীরথী নদী পার হয়ে পৌঁছনো যায় চর বিষ্ণুপুরে। এই গ্রাম থেকে নদিয়া জেলার সঙ্গে সংযোগকারী একটি রাস্তা রয়েছে। বর্ষা এলেই সেখানে কোমর সমান জল জমে যায়। ফলে গাড়ি বা সাইকেল তো দূর, পায়ে হেঁটে চলাফেরাও অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ২৫ বছরের জলযন্ত্রণা! আর সহ্য করতে না পেরে এ কী করলেন গ্রামবাসীরা! শোরগোল হাওড়ায়
স্থানীয় বাসিন্দা ভবেশ বারুই বলেন, আমাদের সমস্যার শেষ নেই। বর্ষা এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। এই রাস্তায় প্রথম থেকেই জল জমে থাকে। যাতায়াত করতে চরম সমস্যা হয়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
গ্রামের বহু বাসিন্দার অভিযোগ, বর্ষাকাল এলেই বুক সমান জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ডিঙি, নৌকা কিংবা হাঁটুজল ভেঙে স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষকে প্রত্যেকদিনের কাজকর্মে যেতে হয়। এই সমস্যার কথা স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন স্তরে জানানো হলেও আজ অবধি কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ রাত নামলেই…! বাড়ি থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছে মানুষ! ‘এই’ এলাকায় যাওয়ার আগে সাবধান
জল জমার পাশাপাশি নদীপাড় ভাঙনও চর বিষ্ণুপুরে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক বছরে ভাঙনে বহু ঘরবাড়ি ও জমি নষ্ট হয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। তবে সব সমস্যার কেন্দ্রে রয়েছে ওই রাস্তাটি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রোজ এই রাস্তা পার হয়ে স্কুলে যায় বহু পড়ুয়া। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা পণ্য পরিবহণ, সবকিছুই হয় এই রাস্তা দিয়ে। ফলে এই পথ জলে ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন মানুষজন। রাস্তাটি সংস্কার না হলে এই গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সকলে। এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হোক চাইছেন প্রত্যেকে।