জয়নগর ২ ব্লকের নলগড়ো ও রায়দিঘির ২৩ নম্বর লটের বাড়িভাঙা গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে মণি নদী। একসময় দুই গ্রামের বাসিন্দারা নৌকায় করে যাতায়াত করতেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে ২০১৫ সালে মণি নদীর উপর আধ কিলোমিটার সেতু তৈরির অনুমোদন মেলে। প্রায় দুই বছর পর সেই সেতু তৈরির কাজ শেষ হয়। কিন্তু যত সমস্যা দেখা দেয় এই সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা নিয়ে। সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করে সেতুটি তৈরি করা হয়। নতুন সেতু হওয়ায় আশায় বুক বাঁধতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি হতে কিছুটা বেশি সময় লেগে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: মামারবাড়ির পরিবর্তে এবার থেকে অঙ্গনওয়াড়িতে শিশুদের অন্নপ্রাশন! পুরোটা জানলে আপনি…
পরে সেতুর নলগোড়া প্রান্তে আ্যপ্রোচ রোড তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বাড়িভাঙা প্রান্তে জমিজটে আটকে আ্যপ্রোচ রোড তৈরির কাজ। এদিকে সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ায় নৌকার সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন এখানকার বাসিন্দারা। শেষে বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে চাঁদা তুলে মাটি ফেলে বাড়িভাঙা প্রান্তে আ্যপ্রোচ রোড তৈরি করেন। পরে বছরখানেক আগে সরকারি উদ্যোগে সেখানে মাটি ফেলা শুরু হয়। কিন্তু বর্ষার আগে কাজ শেষ না হওয়ায় নতুন বিপদের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনার আশঙ্কা দূর করতে তাঁরা দ্রুত এই অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।
নবাব মল্লিক