তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার করে ভোগান্তি থেকে এলাকাবাসীকে রেহাই দিতে হবে পুরসভাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বর্ধমান সেচ ক্যানেলটি ওই ওয়ার্ডের পাশ দিয়ে গিয়েছে। ওই ক্যানেলের পাড়ে গড়ে উঠেছে সুকান্ত পল্লীর পূর্ব ক্যানেল পাড় এলাকা। বাম আমলে ক্যানেলের পাড় ধরে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শুধু বীরভূম নয় এই বাংলাতেই রয়েছে অন্য একটি উষ্ণ প্রস্রবণ, কোথায় জানেন? পড়ুন
advertisement
শ্যামপুর মোড় থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি সুকান্ত পল্লী হয়ে আনন্দপুর এলাকায় গিয়েছে, রাস্তার একটি অংশে প্রায় ১৫ ফুট কংক্রিটের রাস্তা ধসে পড়েছে। প্রায় দু’বছর আগেও একবার ধসে গিয়েছিল। পুরসভা রাস্তাটি সংস্কার করে দিতেই ওই বছরই বর্ষায় ফের ধসে যায়। প্রায় দু’বছর ধরে বিপদজনক ভাঙা অংশটি দিয়ে বাইক ও সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে বহু মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদর নদের জলাধারের গলদা চিংড়ির আজ অস্তিত্ব সংকটে
স্থানীয় বাসিন্দা পার্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, যানবাহন যাতায়াত একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে দুই মেয়ে আছে। বিয়ের সম্বন্ধ আসছে। কিন্তু রাস্তাঘাট দেখে ভেঙে যাচ্ছে বিয়ে। দ্রুত রাস্তাটি মেরামতি না করলে এলাকায় যে কোনও অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এলাকায় প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এই প্রধান রাস্তাটি ভেঙে পড়ে আছে। বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। এলাকার শেষে একটি রাস্তা আছে যেটা প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুর পথে যেতে হয়। পুরসভার প্রশাসনিক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই রাস্তাটি আগেও সংস্কার করা হয়েছিল ধসে যাওয়া অংশটি সংস্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্ষাকালের পরেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
দীপিকা সরকার






