প্রায় ৬০০ মিটার বাঁধ তৈরি শেষ হয়েছিল। বাকি অর্ধেকটা জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় কাজ শুরু করা যায়নি। বাচ্চাদের নিয়ে এখনও অনেক বাসিন্দা জলবন্দি হয়ে রয়েছেন সেখানে। অনেকে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিলেও মিলছে না খাবার। ভাঙা বাঁধ মেরামত না হওয়ায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। বর্তমানে সেখানে সমুদ্রে ভয়ঙ্কর গর্জন হচ্ছে। পাথরপ্রতিমা ব্লকের এই দ্বীপের প্রায় ১২০০ মিটার বাঁধ বঙ্গোপসাগরের জলোচ্ছ্বাসে পুরোপুরি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর প্রায় ৯০০ মিটার রিং বাঁধ তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরে। ‘আরআইডিএফ ২০’ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ হয়েছিল কয়েক কোটি টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার উন্নতি হলেও কাটছে না আতঙ্ক! জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা
যে জায়গায় সেটি তৈরি হওয়ার কথা সেখানে বসবাস ছিল বহু পরিবারের। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ সরে গেলেও গুটিকয়েক পরিবার ভিটেমাটি ছাড়তে রাজি হয়নি। ফলে কাজ শুরু করতে পারেনি সেচ দফতর। এর মাশুল গুণতে হচ্ছে দুই শতাধিক পরিবারকে। নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কোটালের জোড়া ফলায় দুর্বল মাটির বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল ঢুকছে গ্রামে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
২০০টির মধ্যে ৭০টি পরিবার সবথেকে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তাদের ঘরের ভিতর হাঁটু সমান জল। তারা বাড়ির ভিতর উঁচুতে মাচা বেঁধে দিন কাটাচ্ছেন। কয়েকটি পরিবার বাড়িছাড়া। গ্রামের একটি উঁচু রাস্তায় অস্থায়ী ছাউনি করে বসবাস করছেন। এই মুহূর্তে সেখানে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
নবাব মল্লিক