যদিও শের মহম্মদের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে রেণুর পরিবার৷ তাদের দাবি, নিজেকে বাঁচাতেই এখন এসব কথা বলছে শের মহম্মদ৷ রেণুর সঙ্গে অন্য কারও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তাঁর ভাই রিপণ শেখ৷
আরও পড়ুন: 'লড়াই করুন', স্বামী হাত কেটেছিল, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তবু লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসী রেণু
advertisement
স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ায় স্বামী তাঁর হাতের কব্জি কেেট নিয়েছে, এমন খবরে চমকে উঠেছিল গোটা রাজ্য৷ স্ত্রীর সরকারি চাকরিতে আপত্তি থাকার কারণেই স্বামী এই কাণ্ড ঘটায় বলে জানা গিয়েছিল৷ ইতিমধ্যেই রেণুর স্বামী শের মহম্মদ সহ সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এ দিন ধৃত চার জনকে নিয়ে কেতুগ্রামে শের মহম্মদের বাড়িতে আসে পুলিশ৷ ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়৷ ঘটনার দিন কীভাবে রেণুর হাত কাটা হয়েছিল, তা পুলিশকে দেখায় শের মহম্মদ সহ চার অভিযুক্ত৷
সূত্রের খবর, ঘুমন্ত রেণুর দু' হাত চেপে ধরেছিল আসরাফ আলি সেখ নামে ভাড়া করা এক দুষ্কৃতী৷ পা চেপে ধরেছিল হাবিবুর শেখ নামে আর এক দুষ্কৃতী। প্রথমে শের মহম্মদ সাঁড়াশি দিয়ে রেণুর মাথায় আঘাত করে৷ পরে দা দিয়ে রেণুর কব্জি কেটে নেয় সে৷ ঘটনার সময় কোজলসা গ্রামের রাস্তার ধারে পাহারা দিচ্ছিল শের মহম্মদের আত্মীয় চাঁদ মহম্মদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে ঘুমন্ত স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যা করল, পৈশাচিক বললেও কম বলা হবে!
এ দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে শের মহম্মদ দাবি করে, 'ছোট্ট ঘটনার জন্য এতবড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেললাম ভেবে অনুশোচনা হচ্ছে। স্ত্রীর চাকরি পাওয়ার জন্য আমি লড়েছি। স্ত্রী চাকরি করুক এটা আমি চাইছিলাম। কিন্তু বিবাহ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই এই কাণ্ড ঘটেছে।'
যদিও শের মহম্মদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে রেণুর ভাই রিপণ শেখ বলেন, 'নিজেকে বাঁচাতে শের মহম্মদ এখন এসব বলছে। চাকরি করতে দেবে না বলেই ও বোনের সার্টিফিকেটগুলিও সরিয়ে রেখেছিল। আর আমার বোনের সঙ্গে অন্য কারও কোনও সম্পর্ক নেই।'
ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে রেণু খাতুন৷ রেণু সরকারি চাকরিই করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রেণুর জন্য কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থাও করবে রাজ্য সরকার৷