প্রতিদিন পাহাড়-জঙ্গলে মধ্যে দিয়ে মেঠো পথ পেরিয়ে বন-জঙ্গল পাহারা দিচ্ছেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টায় বন্ধ হয়েছে এলাকায় গাছ কাটা। এই জঙ্গলে এখন দেখা যায় হরিণ, চিতাবাঘ, ভাল্লুকের পদচিহ্ন। আজ যেন রেখা সমাজ বদলের প্রতীক। এ বিষয়ে রেখা কালিন্দী বলেন, এককালে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। আজ লড়াই করছি জঙ্গলে। বন্যপ্রাণ বাঁচান ও গাছ বাঁচান যেন এখন জীবনের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে হয়। কর্তব্য ও মাতৃত্ব একসঙ্গেই সামলাতে হয়। এই লড়াই কঠিন হলেও তার ভীষণই ভালোলাগা রয়েছে এই কাজের মধ্যে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
রেখার এই লড়াইয়ের সর্ব সময়ের সঙ্গী তার স্বামী মণিন্দ্র কালিন্দী। স্ত্রীর কর্মকাণ্ডে গর্বিত তিনি। আগামী দিনেও স্ত্রীর পাশে সমস্ত দিক থেকে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন তিনি। এ বিষয়ে পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, রেখা কালিন্দী প্রতিনিয়ত যেভাবে কাজ করে চলেছেন তা প্রশংসনীয়। তার কাজে আমি গর্বিত। আগামী দিনে রেখা আরও ভালোভাবে কাজ করুক এটাই আমাদের কাম্য।
২০০৯ সালে ততকালীন রাষ্ট্রপতির প্রতিভা পাতিল তাঁকে ‘সমাজ পরিবর্তনের দূত’ আখ্যা দিয়েছিলেন। আজও যেন সেই কথাকেই বাস্তবায়িত করে চলেছেন রেখা। গোটা জঙ্গলমহলবাসীর গর্ব তিনি।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি





