Tribal Food Mangsho Pitha: দেখতে চ্যাপ্টা থালার মতো জিল পিঠে, জঙ্গলমহলের জনপ্রিয় ডিশ, মুখে দিলেই পাবেন মাংসের স্বাদ! শীতে বাড়িতেই বানিয়ে খান

Last Updated:
এই খাবার অত্যন্ত ভাইরাল বাঁকুড়া পুরুলিয়া ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে। পিঠে হলেও এটা তৈরি হয় মাংস দিয়ে। মিষ্টি নয় কিন্তু! মুলত এটি একটি মাংসের প্যানকেক।
1/5
খাতড়া, বাঁকুড়া: জিল পিঠা কামড়ালেই মুখে মিলিয়ে যায়। এটা আসলে তৈরি হয় শাল পাতায় মুড়ে। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের আদিবাসী এই খাবার অত্যন্ত ভাইরাল বাঁকুড়া পুরুলিয়া ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে। পিঠে হলেও এটা তৈরি হয় মাংস দিয়ে। মিষ্টি নয় কিন্তু! মুলত এটি একটি মাংসের প্যানকেক। (নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
খাতড়া, বাঁকুড়া: জিল পিঠা কামড়ালেই মুখে মিলিয়ে যায়। এটা আসলে তৈরি হয় শাল পাতায় মুড়ে। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের আদিবাসী এই খাবার অত্যন্ত ভাইরাল বাঁকুড়া পুরুলিয়া ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে। পিঠে হলেও এটা তৈরি হয় মাংস দিয়ে। মিষ্টি নয় কিন্তু! মুলত এটি একটি মাংসের প্যানকেক। (নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
advertisement
2/5
জিল পিঠে হল মূলত সাঁওতাল উপজাতি সম্প্রদায়ের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা আক্ষরিক অর্থে
জিল পিঠে হল মূলত সাঁওতাল উপজাতি সম্প্রদায়ের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা আক্ষরিক অর্থে "মাংসের প্যানকেক" নামে পরিচিত। এটি একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালি প্রধান পদের পিঠা এবং সাধারণত চালের আটা ও কিমা করা মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়।
advertisement
3/5
উৎসবের সময় এই বিশেষ পিঠেটি প্রতিটি সাঁওতাল বাড়িতে রান্না করা হয়। প্রথমে মাংসের কিমার সঙ্গে সমস্ত বাটা মশলা অর্থাৎ পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, ধনে, লঙ্কা এবং নুন মিশিয়ে ভাল করে কষিয়ে বা রান্না করে পুর তৈরি করে নিতে হয়। চালের গুঁড়ো ও আটা একসঙ্গে মিশিয়ে, তাতে পরিমাণমত নুন দিয়ে ফুটন্ত গরম জল ব্যবহার করে একটি নরম পরত তৈরি করে নিতে হবে। 
উৎসবের সময় এই বিশেষ পিঠেটি প্রতিটি সাঁওতাল বাড়িতে রান্না করা হয়। প্রথমে মাংসের কিমার সঙ্গে সমস্ত বাটা মশলা অর্থাৎ পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, ধনে, লঙ্কা এবং নুন মিশিয়ে ভাল করে কষিয়ে বা রান্না করে পুর তৈরি করে নিতে হয়। চালের গুঁড়ো ও আটা একসঙ্গে মিশিয়ে, তাতে পরিমাণমত নুন দিয়ে ফুটন্ত গরম জল ব্যবহার করে একটি নরম পরত তৈরি করে নিতে হবে।
advertisement
4/5
হাতের তালুতে চ্যাপ্টা করে তার মাঝখানে মাংসের তৈরি পুর ভরে মুখ বন্ধ করে দিয়ে, শাল পাতায় মুড়ে আগুনে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে মাংসের পিঠে। দেখতে চ্যাপ্টা থালার মত। অসম্ভব সুন্দর খেতে। বিক্রিও হয় জঙ্গলমহলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, দাম থাকে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। কি এবার জিল পিঠে খেতে ইচ্ছা করছে? তাহলে চলে আসতে হবে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে। জঙ্গলমহলে যদি আসতে না পারেন তাহলে চলে আসুন খাতড়া।
হাতের তালুতে চ্যাপ্টা করে তার মাঝখানে মাংসের তৈরি পুর ভরে মুখ বন্ধ করে দিয়ে, শাল পাতায় মুড়ে আগুনে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে মাংসের পিঠে। দেখতে চ্যাপ্টা থালার মত। অসম্ভব সুন্দর খেতে। বিক্রিও হয় জঙ্গলমহলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, দাম থাকে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। কি এবার জিল পিঠে খেতে ইচ্ছা করছে? তাহলে চলে আসতে হবে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে। জঙ্গলমহলে যদি আসতে না পারেন তাহলে চলে আসুন খাতড়া।
advertisement
5/5
বিভিন্ন শীতের মেলা থেকে শুরু করে মুকুটমনিপুরের আদিবাসী উৎসব, মুকুটমণিপুর মেলায় পেয়ে যাবেন এই পিঠে। প্রচুর চাহিদা রয়েছে এটির। আদিবাসী এই খাবার পর্যটকেরা লুফে নেয়। আর আপনার ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন থাকে তাহলে পেয়ে যাবেন জঙ্গলমহল বেড়াতে এসে। না খেলে বুঝবেন না এর স্বাদ। পকেটেও হালকা আবার সাইজেও বিরাট। শুধুই মাংস আর শাল পাতার গন্ধ! 
বিভিন্ন শীতের মেলা থেকে শুরু করে মুকুটমনিপুরের আদিবাসী উৎসব, মুকুটমণিপুর মেলায় পেয়ে যাবেন এই পিঠে। প্রচুর চাহিদা রয়েছে এটির। আদিবাসী এই খাবার পর্যটকেরা লুফে নেয়। আর আপনার ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন থাকে তাহলে পেয়ে যাবেন জঙ্গলমহল বেড়াতে এসে। না খেলে বুঝবেন না এর স্বাদ। পকেটেও হালকা আবার সাইজেও বিরাট। শুধুই মাংস আর শাল পাতার গন্ধ!
advertisement
advertisement
advertisement