জেলা আবগারি দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, এবছর শারদোৎসবে পঞ্চমীর দিন থেকে লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৩৩ লক্ষ ১২ হাজার ৮৫১ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। উৎসবের মরশুমে সুরা বিক্রির মাত্রা এক লাফে যেন আকাশ ছুঁয়েছে।
এই বিষয়ে ডেপুটি এক্সসাইজ কালেক্টর (DEC) পুরুলিয়া সদর প্রতাপ সরকার বলেন, এ বছর মদ বিক্রি ১৮ কোটির বেশি হয়েছে। তবে বিগত বছরে ২৩ কোটির বেশি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। ২০২৪ এর দুর্গাপুজোয় ষষ্ঠী থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত জেলায় মদ বিক্রি হয়েছিল ২৩ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৩২ টাকার। তাই বিগত বছরের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি এ-বছর। কারণ এ-বছর দশমীর দিন ছিল গান্ধী জয়ন্তী। তাই মদ বিক্রি সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ ছিল সেদিন। সেই কারণে এ-বছর বিক্রির মাত্রা কমেছে। এছাড়াও বৃষ্টি হওয়ার কারণে বিয়ার বিক্রিও কম হয়েছে বিগত বছরের তুলনায়।
advertisement
জেলা আবগারি দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ-বছর দেশি মদ বিক্রি বেশি হয়েছে। গত বছরে দেশি মদ বিক্রি হয়েছিল ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯৭.৭৭ লিটার। এবছর তার পরিমাণ ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৭৭৬. ১৫ লিটার। গত বছর বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছিল ৬২,৬২৪.৮৬ লিটার, এ বার তা দাঁড়িয়েছে ৬৪,৫৭৫.৭১ লিটার। যদিও ৪.৩৯ শতাংশ বিক্রি কমেছে বিয়ারের। গত বছর বিয়ার বিক্রি হয়েছিল ৯৭,৪০৮.৮৬ লিটার। এ-বার বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৯৩,১৩৪. ২১ লিটার। তুলনামূলক বিদেশি মদ ও বিয়ারের বিক্রি কমেছে এ-বছর। তাই বিগত বছরের থেকে এ-বছর মদ বিক্রি প্রায় পাঁচ কোটির কাছাকাছি কম হয়েছে।
আরও পড়ুন- অল্প খরচে বেশি ফলন, পরিশ্রম নেই বললেই চলে! চাষ করতে পারেন এই পদ্ধতিতে
উৎসবের আনন্দে মদের বিক্রি যথেষ্টই ভাল হয়েছে। পুজোর অনেক আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ চোলাই মদের ঠেকে অভিযান করেছিল জেলা আবগারি দফতর। আর তাতেই বৈধভাবে মদ বিক্রি হয়েছে বলে মনে করছেন আবগারি আধিকারিকরা। রাজ্যের কোষাগারে রাজস্ব বেড়েছে। আগামিদিনে এভাবেই অবৈধ মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে আবগারি দফতর।