জানা গিয়েছে, ছত্রাকঘটিত রোগের কারণে বছর পাঁচেক আগে সীমান্ত এলাকায় গম চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কৃষি দফতর। গম চাষ বন্ধ করতে লাগাতার প্রচার করা হয়। আজ থেকে দশ বছর আগেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গম চাষ দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল হিসেবে গণ্য হত। এখন গম চাষের পরিমাণ কমেছে অনেকটাই। শুধুমাত্র হরিরামপুর, বংশীহারী এবং কুশমন্ডি ব্লকের বিভিন্ন অংশে গম চাষ হয়ে থাকে। বাকি বিস্তীর্ণ অংশে কৃষকরা সরষে চাষকেই বেছে নিয়েছেন।
advertisement
চলতি মরশুমে সরষে চাষে রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি জমিতে সরষে বুনেছেন জেলার কৃষকরা। ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে সরষে চাষ হয়েছে। যেখানে আনুমানিক এক লক্ষ ৪০ হাজার টন সরষে উৎপাদন হবে এবং এই পরিমাণ সরষে মানুষের চাহিদা পূরণ করার পরেও উদ্বৃত্ত থেকে যাবে। উদ্বৃত্ত এই ফসল সঠিক দামে বিক্রির সুযোগ পেলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
কৃষকদের দাবি, উদ্বৃত্ত ফলন বিক্রির জন্য কিষান মান্ডির ব্যবস্থা করা হোক। যেখানে তাঁরা সরাসরি গিয়ে সঠিক দামে সরষে বিক্রি করতে পারবেন। জেলায় সরষে বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনও বাজার নেই। উদ্বৃত্ত সরষে বিক্রির জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় মধ্যস্থতাভোগীদের উপর। জানা গিয়েছে, কিছুটা আগে লাগানো সরষে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত পরিপূর্ণতা লাভ করে এবং কৃষক সরষে তুলে নেওয়ার পর সেই হিসেবে গ্রীষ্মের ধান চাষ করতে পারেন। অর্থাৎ একটা জমিতে তিনটি ফসল ফলাতে পারছেন কৃষকরা আর এখান থেকেই লাভের মুখ দেখেছেন তাঁরা।
সুস্মিতা গোস্বামী