বিক্ষোভকারী গ্রাহক আতারুল সেখ বলেন, রেশন ডিলার হাসিবুর রহমান প্রতি কার্ড পিছু ১ কেজি করে চাল কম দিচ্ছিল। যার ফলে প্রত্যেক পরিবার ৫-৬কেজি করে রেশন সামগ্রী কম পাচ্ছিল। আমরা প্রতিবাদ জানাতেই আমাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। আমরা চাই আমাদের সঠিক পরিমানে রেশন সামগ্রী দেওয়া হোক।
বিক্ষোভকারী আঞ্জিরা বিবি বলেন, ওই রেশন ডিলার আমাদের কম রেশন সামগ্রী দেয়। সেই কারণেই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা চাই আমাদের ন্যায্য পরিমানে রেশন সামগ্রী দেওয়া হোক। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেশন ডিলার হাসিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমি ন্যায্য পরিমানেই রেশন সামগ্রী দিয়েছি। কার্ড প্রতি যে পরিমান নির্দিষ্ট থাকে সেই পরিমানেই দিয়েছি।
advertisement
অন্যদিকে মিডডে মিলের খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের এই অভিযোগ তুলেঅঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জলঙ্গি থানার জোট পরদপুর ১৬নং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। অভিযোগ শিশুদের জন্য যে খাবার তৈরি করা হয় তা খাওয়ার অযোগ্য, শিক্ষিকারা সময়মতো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসেন না। এরই প্রতিবাদে শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে অভিভাবকরা। খবর পেয়ে জলঙ্গি থানার পুলিশ ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ও বিক্ষোভ তুলে দেয়।
আরও পড়ুন, ‘আরে বালু যে…!’ পাশের সেলেই সব চেনা-মুখ, জেলে জ্যোতিপ্রিয়র ঠিকানা এখন খোরাকের ‘MLA-ব্লক’
আরও পড়ুন, অনুব্রত নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! ছাড়লেন না পার্থ জ্যোতিপ্রিয়কেও! কী এমন বললেন?
বিক্ষোভকারী মৌসুমী বিবি বলেন, শিশুদের জন্য তৈরি মিডডে মিলের খিচুরি মুখে তোলা যায় না, সপ্তাহে মাত্র চারদিন মিডডে মিল রান্না হলেও তা খাওয়ার একেবারে অযোগ্য, শিক্ষিকারা সময়মতো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসেন না, মিড ডে মিলের সহায়িকা শিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে পড়ুয়াদের পড়ায়। এরই প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। আমরা চাই সুষ্ঠভাবে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিচালনা করা হোক এবং ঠিক মতো মিড ডে মিল রান্না করা হোক।
সাদিখারদিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহাবুল ইসলাম বলেন, আমি সমস্ত বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের শিক্ষিকাকে বলা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে ঠিকমতো মিড ডে মিলের রান্না করা হয় এবং শিশুদের ঠিকমতো পড়াশোনা করানো হয়।