মুকুল চ্যাটার্জী, মেলা আয়োজক জানান, সবাই মিলে ঠিক হয় কাছে জোড়া শিব মন্দিরে সামনে রাখা হবে রথ।জোড়া মন্দিরে রাখা রথই গত কয়েক বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছে। আর এবার করোনার প্রকোপের জেরেই সেই রথ ও এল না রথতলায়।এই মেলায় পাঁপড়, বাদাম আর খেলনার জিনিসের পাশাপাশি নানা ধরনের গাছ বিক্রি হল অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এক সময় এই রথের মেলায় উল্টো রথের শেষ দিন হত বৌ মেলা।ঐতিহ্যের সেই মেলায় পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।কিন্তুু বর্তমান সময় গাছ বিক্রি ও কেনাতেই ছিল শহর তথা জেলার মানুষের কাছে আসল আকর্ষণ। এবছর করোনার প্রকোপে রথতলার মেলার আয়োজকরা মেলা বন্ধ রেখেছে।আমফান ঝড়ের পর গাছ পড়েছে বহু।কিন্তুু গাছ কিনে বসানোর সেই বাসনা থেকে শহর বাসি বঞ্চিত রইল এবার।মেলার আয়োজক মুকুল চ্যাটার্জী এদিন জানান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এক সময় এই মেলায় এসে পূজা দিয়ে গিয়েছেন। এমন ঐতিহ্য মেলা এবার বসল না। আর ভরা বর্ষাতে গাছ বেঁচে দু পয়সা দেখল না বিক্রেতা।সবচেয়ে বড় কথা এই মেলার গাছেই গৃহস্থের উঠান সবুজ হয়।পরিবেশ তরতাজা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা মগরা থেকে আসা গাছ বিক্রেতা পরিতোষ মন্ডলের কথায়, মহাজন থেকে গাছ তো দিন ১৫ আগেই কিনেছেন এই মেলার জন্য। মেলা বন্ধে তাদের মাথায় হাত।মহাজন তো আর গাছ ফিরিয়ে নেবে না। সব লস শুধুই তার।
advertisement
RAJORSHI ROY