প্রথম বছরের রথযাত্রা উপলক্ষে ভক্তদের জন্য থাকছে এক লক্ষ জিবেগজা বা খাজা। আর তা তৈরি করার জন্য সুদূর ওড়িশার পুরি থেকে আসছে ১২ জনের জিবেগজা তৈরির কারিগরের দল। প্রথম বছর হলেও সারা রাজ্যে বারুইপুরের এই রথযাত্রা সাড়া ফেলবে বলেই আশা করছেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: জলের দরে ইলিশ খাওয়ার দিন শেষ! ভরা মরশুমেও আকাল দেখা দেবে বাজারে, বাড়তে পারে দাম! কেন জানেন
advertisement
এ প্রসঙ্গে এক উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘাতে পুরির মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরি করেছেন। পাশাপাশি সারা রাজ্যের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন দিঘার জগন্নাথ ধামের গজা, প্যারা ও মন্দিরের ছবি সম্মলিত মহাপ্রসাদ। আর তার থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে, তারাও তাদের প্রথম বর্ষের রথযাত্রা উৎসবে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের হাতে তুলে দেবেন প্রায় এক লক্ষ জিভে গজা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আরেক উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, পুরীতে নির্মাণ হচ্ছে নিমকাঠের তৈরি চার ফুটের জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর মূর্তি। যা খুব শীঘ্রই ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে আসতে চলেছে বারুইপুরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের অরুপ ভদ্র কমিউনিটি হলের সামনেই চলছে ১৮ ফুট বাই ১০ ফুট লোহার তিন তলা রথ তৈরির কাজ। তিনতলা রথে মোট ছোট মেজ ও বড় মিলিয়ে মোট ১২ টি চূড়া থাকবে। প্রতিটি তলার নির্দিষ্ট কক্ষে রাখা হবে এক একটি দেবতার মূর্তি। অর্থাৎ জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রাকে একসঙ্গে না রেখে তিনটি তলাতে তিন দেবতার মূর্তি রাখা হবে।
তিন তলা এই লোহার রথের ওজন প্রায় ৫০০ কেজি হবে। আর এই রথ টানার জন্য যে চাকা লাগানো হয়েছে তা কার্বন ফাইবারের তৈরি টিউবলেস টায়ার দিয়ে তৈরি। আর রথের আগের দিনই বারুইপুর পৌরসভার ২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তার দু’পাশে জয় জগন্নাথ লেখা ১০ হাজার গেরুয়া পতাকা লাগানো হবে জানালেন উদ্যোক্তারা। বারুইপুরের এই নতুন রথযাত্রার শুভারম্ভের অপেক্ষায় রয়েছেন বারুইপুর তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মানুষজন।
সুমন সাহা