এই রথের উচ্চতা ৫০ ফুট, ওজন ১২৫ টন। এই রথে ১২টি লোহার চাকা আছে। প্রতিটির বেড় হল ১ ফুট করে। রথের একতলায় চৈতন্যলীলা, দ্বিতীয় তলে কৃষ্ণলীলা, তৃতীয় তলে রামলীলা চিত্রিত করা আছে। চার তলায় বসানো হবে বিগ্রহদের। এই রথ চালু করা হয় ১৮৮৫ সালে। আজও সেই রথ নানা ইতিহাস, নানা ঐতিহ্য বহন করে চলে আসছে। প্রতি বছর রথের আগে রথের কাঠ বদলাতে হয়। এর জন্য খরচ পড়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
advertisement
এতদিন শ্যামবাজারের বসু পরিবার এই খরচ বহন করত। বর্তমানে এই খরচ দেখভাল করবে রথ সংষ্কার কমিটি। গোটা বছর জুড়ে তারা এই রথ রক্ষাণাবেক্ষণের বিষয়টি দেখে আসবেন। মন্দিরের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ মেনেই রথের কাঠ বদলানো হয়েছে। রোদ-জল থেকে যাতে রথের ক্ষতি না হয়, তাই শেড তৈরি করা হচ্ছে। এর আগে একটা ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল। তবে তা স্থায়ী হয়নি। এবার পাকাপোক্ত ছাউনি তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন, আজ রথযাত্রার পুণ্যতিথি কত ক্ষণ থাকবে? দিনভর শুভ মুহূর্তই বা কখন? জানুন
আরও পড়ুন, হাড়হিম ঘটনা হাওড়ায়! শূন্যে চলল ‘গুলি’! দিনে-দুপুরে ব্যবসায়ীর উপর হামলায় তোলপাড়
অন্যদিকে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে এবার পুরীর আদলে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরেও ধ্বজা লাগানো হবে। যাঁরা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান, তাঁদের নাম নেওয়া হচ্ছে অন লাইনে। বর্তমানে মাহেশের জগন্নাথ মন্দির সংষ্কারের পরে নতুন করে সেজে উঠেছে। পর্যটন সার্কিটের আওতায় আনা হয়েছে৷ ফলে এই মন্দির দেখতে সারা বছর মানুষ আসেন এখানে। আর রথ উৎসব হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও ভক্তরা এসেছেন।