আরও পড়ুন: সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়েও বাড়ি ফেরা হল না, এই কারণে আবারও ভর্তি হতে হল
সাধারণত ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে রেঁধে আশ্বিনের প্রথম দিন পান্না খাওয়ার রীতি প্রচলিত বাংলায়। তবে এই রান্না পুজো হয় অঘ্রায়ণ মাসের অমাবস্যা পরবর্তী প্রথম সোমবার। কারণ হিসেবে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বহুবছর আগে ফুলতলা মণ্ডলপাড়া এলাকায় কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। তাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় এক সংখ্যালঘু মহিলাকে স্বপ্নে দেখা দেন দেবী। আদেশ দেন, স্থানীয় ধন পুকুরের জলে রান্না করে সকলে মিলে খেতে। তাহলেই কলেরার প্রকোপ কমবে গোটা গ্রামে। পুকুরের জলেই নাকি রান্না করার আদেশ দিয়েছিলেন দেবী। সেই বিশ্বাস থেকে আজও এই এলাকায় বিশেষ দিনে সকলে মিলে নানা রকমের নিরামিষ পদ রান্না করে খাওয়া দাওয়ার রীতি চলে আসছে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সেই থেকে এই অসময়ের রান্না পুজোর দিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ একত্রিত হন হাবড়ার ফুলতলা মণ্ডলপাড়ায়। রাস্তার দু’ধারে ভোর থাকতেই পুকুরে স্নান করে নতুন জামা কাপড় পরে শুরু হয় রান্না। স্থানীয় ধন পুকুরের জলে রয়েছে বিশেষ গুণ, বিশ্বাস এখানকার মানুষজনের। বাড়ি থেকে আনা নানা রকমের শাক সবজি থেকে শুরু করে চাল-ডাল দিয়ে এই পুকুরের জল তুলেই চাপান রান্না। সারাদিন ধরে এই এলাকায় চলে ভক্তি ভরে রান্না পুজো। ছোট শিশু থেকে বাড়ির প্রবীণ সদস্যরাও এই রান্না পুজোয় অংশ নেয়। এই উপলক্ষে রীতিমতো মেলাও বসে মণ্ডলপাড়ায়। নানা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় এলাকার এই রান্না পুজোকে ঘিরে।
রুদ্রনারায়ণ রায়






