একেবারে সাজো, সাজো রব গোশালা মন্দির চত্বরে। একেবারেই অকাল দীপাবলীর চেহারা নিতে চলেছে পুরুলিয়া শহরের এই মন্দির। শ্রী হনুমান চালীসার প্রচার সমিতির উদ্যোগে এই আয়োজন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে হবে হনুমান চালীসা পাঠ, কীর্তন ও ভজন। শহর পুরুলিয়ার ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সকাল সাতটা থেকেই হবে হবে, নরনারায়ন ভোজন।
আরও পড়ুন: শৌর্য পদক পাচ্ছেন রাজ্যের আট পুলিশ আধিকারিক! জানুন বিস্তারিত
advertisement
সমিতির মুখপাত্র তথা বজরং দলের নেতা সুরজ শর্মা বলেন , আমরা ১ লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের লক্ষ্য নিয়েছি। তবে তা ছাপিয়ে যাবে। একটি র্যালি বের হবে। হনুমান মন্দিরের উল্টো দিকের মাঠেই এই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হবে।
এ বিষয়ে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জগদীশ লাটা বলেন, ‘‘এখানে আসা ভক্তদের হাতে প্রসাদ তুলে দিতে ঘি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৫৫১ কেজির মতিচুর লাড্ডু। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় উন্মাদনায় আবেগে ভাসছে পুরুলিয়া জেলা। আমরা সর্বতোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি।’’
পুরুলিয়া শহরের গোশালা হনুমান মন্দিরে ১ লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের জন্য বরাত দেওয়া হয় জেলার কোটলুই গ্রামে। এই গ্রাম প্রদীপ গ্রাম নামে পরিচিত। এখানকার মৃৎশিল্পীরা সারা বছর প্রদীপ তৈরি করেন। এই দিনে তাই ১ লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে জন্য ওই গ্রামকে বরাত দেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য গোশালা মন্দির প্রাঙ্গণের উল্টো দিকের মাঠে তৈরি হয়েছে প্যান্ডেল-ব্যারিকেড। সাত দিন ধরে মহিলারা সলতে পাকাচ্ছেন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের জন্য। অযোধ্যার মত পুরুলিয়া জেলাও রামের আহবানে আনন্দে মেতে উঠেছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি