তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে নিত্যনতুন গানের দাপটে কার্যত বাউল গানের প্রচলন হারিয়ে গেছে। আর এই হারিয়ে যাওয়া বাউল গানকে বাঁচিয়ে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বীরভূমের রাজু দাস বাউল। বীরভূমের লাল মাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা এই রাজু দাস। মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম চিন গিয়ে বাউল গানের স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে এসেছেন। তবে শুধু চিন নয় দেশ বিদেশ মিলিয়ে প্রায় ১২ টি জায়গা ঘুরে এসেছেন এখনও পর্যন্ত। সেই সমস্ত জায়গা গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাউল গান কী,কবে থেকে এর শুরু এই সমস্ত বিষয় অবগত করে এসেছেন।
advertisement
রাজু দাস আমাদের জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত চিন, আমেরিকা,লন্ডন,প্যারিস এরকম বিভিন্ন দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। গত বছর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় একটি বাউল গানের ওয়ার্কশপ করেন। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মানুষকে বোঝান বাউল গানের গুরুত্ব কী। আমেরিকার মানুষ ও আগ্রহের সঙ্গে জানতে চেয়েছেন দোতারা একতারা যন্ত্র কীভাবে কী দিয়ে এবং কেন তৈরি হয়েছে কবে থেকে এর প্রচলন বিভিন্ন বিষয়। এছাড়াও তিনি জানান, মূলত সাধারণ যুব সমাজের মধ্যে বাউল গানের প্রচলন বা বাউল গান হারিয়ে যাচ্ছে আর সেই হারিয়ে যাওয়া বাউল গানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই তার এই প্রচেষ্টা।
অন্যদিকে বীরভূমের বোলপুরের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান,”মূলত বোলপুরের মধ্যে এই সোনাঝুরির হাটে এলে বাউল গান শুনতে পাওয়া যায় অন্যান্য জায়গায় সেই ভাবে বাউল গান আর প্রচলন নেই। তবে রাজু দাসের এই প্রচেষ্টা আগামী প্রজন্মের কাছে বাউল গান বাঁচিয়ে রাখতে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করবে।”
সৌভিক রায়