TRENDING:

History & Heritage: অগ্নিযুগের বিপ্লবীর আঁকা ছবির সঙ্গে রাজপরিবারের ঝাড়বাতি! এই কলেজ যেন ইতিহাসের আকর

Last Updated:

History & Heritage: হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও এই রাজ প্যালেস বিভিন্ন স্বাধীনতার সংগ্রামী এবং বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিত্বদের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুর শহর থেকে অনতিদূরে রয়েছে রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়। মহিলাদের শিক্ষার আলোতে আনতে মেদিনীপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় এই প্রতিষ্ঠান। যেখানে বর্তমানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর একাধিক বিভাগে পাঠদান হয়। তবে জানেন এই মহাবিদ্যালয় একটি রাজ সম্পত্তি? এখানেই ছিল রাজপ্রাসাদ। এখনও হেরিটেজ কমিশন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ রাজাদের সেই ইতিহাসকে সংরক্ষণ করেছেন। যেখানে কলেজের প্রশাসনিক ভবন ছিল, সেখানেই রয়েছে এই রাজ প্যালেস। হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও এই রাজ প্যালেস বিভিন্ন স্বাধীনতার সংগ্রামী এবং বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিত্বদের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।
advertisement

মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত গোপ কলেজ, যার পুরো নাম রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়। আসলে বাইরের থেকে দেখলেই এটি মহিলা মহাবিদ্যালয় মনে হলেও এর মধ্যেই রয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা নিদর্শন। কলেজের অভ্যন্তরে রয়েছে রাজ প্যালেস। যা পরিচিত গোপ প্যালেস নামে পরিচিত। বর্তমানে এটি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। প্যালেসের মধ্যে যেসব ঐতিহাসিক এবং রাজকীয় নিদর্শন রয়েছে তা জানলে আপনিও অবাক হবেন। রয়েছে তৎকালীন দিনে ব্যবহৃত কামান, রাজাদের ব্যবহৃত নানা সামগ্রী। দেওয়ালে আটকানো বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর আঁকা ছবি। স্বাভাবিকভাবে রাজ রাজড়াদের এবং বিপ্লবের নানা স্মৃতি বয়ে চলেছে গোপ প্যালেস।

advertisement

মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের কাছেই রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়। কলেজের যেখানে মূল অফিস রয়েছে, সেই অফিসে ঢুকেই আপনি চমকে যাবেন। অফিসে ঢুকলেই চোখ আটকে যাবে সামান্য উচ্চতায়। উপর দিকে রয়েছে বেশ কিছু হাতে আঁকা অনিন্দ্যসুন্দর ছবি। আর এই ছবিগুলো এঁকে ছিলেন অগ্নিযুগের বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো। অসাধারণ শিল্প নৈপুণ্যে ফুটিয়ে তুলেছিলেন নানা ছবি।

advertisement

আরও পড়ুন : পূজিত প্রাচীন নিমকাঠের প্রতিমা! সাবেকিয়ানার স্বাদ অনুভব করতে আসুন কয়েকশো বছরের এই শারদো‍ৎসবে

View More

শুধু তাই নয়, গোপ প্যালেসের সংরক্ষিত কক্ষে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন, রাজাদের সমকালীন ঝাড়বাতি থেকে ড্রেসিং টেবিল, টুল, টেবিল, বিছানা-সহ বহু আসবাবপত্র। জানা যায় ১৮৯৫ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোলের রাজারা এই প্যালেস তৈরি করেছিলেন। শুধু তাই নয় এই রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে একাধিক বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। মহাত্মা গান্ধি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর মতো বিপ্লবীদের পাশাপাশি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক সাহিত্যিকের পদধূলি পড়েছে এই কলেজে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহিলাদের উচ্চশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে মেদিনীপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় মহিলা মহাবিদ্যালয়। ইতিহাস গবেষকরা মনে করেন, সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হোক এই বিশেষ নিদর্শন গুলো। তবে সত্যিই এই গোপ প্যালেসে এসে কিছুক্ষণ থাকলেই মন জুড়োবে আপনার।জানতে পারবেন ইতিহাসের নানা জিনিস।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
History & Heritage: অগ্নিযুগের বিপ্লবীর আঁকা ছবির সঙ্গে রাজপরিবারের ঝাড়বাতি! এই কলেজ যেন ইতিহাসের আকর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল