এতে চর্মরোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি মশা-মাছির উপদ্রব পৌঁছেছে চরমে। ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও নানা রকম চর্মরোগ ও সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভুগছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বর্ষায় জল জমার সমস্যা হয়। তবে এবারের পরিস্থিতি অনেক বেশি ভয়াবহ।
advertisement
সাধারণ মানুষের বক্তব্য, একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও মেলেনি স্থায়ী সমাধান। এবার এলাকার মানুষের একটাই দাবি, বর্ষা চলে যাওয়ার আগেই যেন উদ্যোগ নিয়ে এই জল জমার পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জমা জলের কারণে বিদ্যালয়মুখী ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতেও চরম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জল পার হয়ে পায়ে হেঁটে স্কুলে পৌঁছানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছে। অনেকের হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে দেখা দিচ্ছে চর্মরোগ। অন্যদিকে, দোকানপাটে ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। কয়েকটি বাড়িতে ইতিমধ্যেই মাটির দেওয়ালে স্যাঁতসেঁতে ছত্রাকের মতো দাগ দেখা দিচ্ছে, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। এই অবস্থায় এলাকায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে শুধু তাৎক্ষণিক নয়, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে সরব হচ্ছে গোটা অঞ্চল।