রবিবার বিকেলে স্থানীয় মানুষজনরা কামারপুকুর কলেজের পেছনের অংশে নির্মীয়মান রেলপথ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেন। এতে পশ্চিম অমরপুর মৌজা থেকে পুকুরিয়া হয়ে বাঁকুড়া জয়রামবাটি সীমানা পর্যন্ত দু-কিলোমিটার কাজ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে রেলের। স্থানীয়দের দাবি তাদের নিকাশি সংক্রান্ত সমস্যা না মিটলে তারা আর কাজ করতে দেবেন না এমন হুঁশিয়ার জারি করেছেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন-‘মহাপ্রলয়’ শুরু…! ২৭ বছর পর শুক্র-শনির মহামিলন, দুর্লভ সংযোগে ৪ রাশির জীবন ‘নরক’, ভয়াবহ ঝড় আসতে চলেছে
আমিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামবাসীরা মিলে তারা তৈরি করেছেন রেল চালাও গ্রাম বাঁচাও কমিটি। তাদের দাবি রেলের প্রতিশ্রুতি মতোন নিকাশি ব্যবস্থা না হওয়ায় তারা একটি জায়গা ব্যারিকেট করে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। মাটি ফেলার কাজ চলছিল রেলের সেই কাজও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা রেলকে এটা বোঝাতে চাইছে যে যতদিন না তাদের দাবি মিটছে ততদিন পর্যন্ত তারা রেলের কাজ করতে দেবেন না।
গ্রামবাসীদের দাবি বন্যা বা বর্ষায় জল নিকাশি অনিশ্চয়তা দেখা দিতে কোথাও কোথাও কালভার্ট কোথাও আন্ডার পাশ তৈরি করা হবে তা লিখিতভাবে জানানো হয় রেলকে। তাদের অভিযোগ মৌখিকভাবে এরকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কোন রকম কাজ করা হচ্ছে না বরং যা কাজ হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অন্যরকম। বক্স কালভার্টের বদলে পাইপ বসানো হচ্ছে। প্রস্তাবিত রেলের পুরো এলাকাটির সমতল থেকে অন্তত ৫ ফুট নিচু উঁচুবাদ করতে রেললাইন করলে পশ্চিমবঙ্গ পুর তাজপুর আনন্দপুর এর মতন প্রায় বারোটি গ্রাম থেকে আর বর্ষার জল বেরোতে পারবে না তাতে শুধুমাত্র বর্ষার সময় নয় এমনি সময় কেউ জলমগ্ন থাকবে গোটা গ্রাম। তাই রেল যাতে তাদের প্রতিশ্রুতিমূলক কাজ করে সেই কারণেই তারা রেলের কাজ বন্ধ রেখে বিরোধ জানাচ্ছেন।
রাহী হালদার