পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার কেশিয়াড়ি মোট সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে রেলগেট। খড়গপুর বালেশ্বর রেলপথে কেশিয়াড়ি মোড় এলাকার এই হোটেল গেট বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রেলগেটে আটকে মৃত্যু হয়েছে একাধিক জনের। বেশকিছু জনের আবার প্রাণ বিপন্ন হয়েছে। সম্প্রতি এক প্রসূতি মহিলাকে নিয়ে যাওয়ার সময় রেলগেটেই মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে এই রেলগেটে আটকা পড়তে হয় সকলকে। দীর্ঘদিন ধরে রেলের ওভারব্রিজ এবং আন্ডার পাশের দাবি জানিয়ে সুরাহা মেলেনি।
advertisement
বেলদা থেকে কেশিয়াড়ি গামী রাজ্য সড়কে এই রেলগেট। একদিকে রয়েছে বেলদা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, বেলদা কলেজ। অন্য দিকে রয়েছে নারায়ণগড় ব্লক অফিস, বেলদা থানা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর। এই রাজ্য সড়ক ধরেই যাওয়া যায় ওড়িশা রাজ্যে। তবে মনে করা হচ্ছে জনসংখ্যার চাপ বাড়লেও রাজ্য এবং কেন্দ্রের টানাপোড়েনের কারণে তৈরি হয়নি ওভারব্রিজ। সম্প্রতি ওভারব্রিজ নির্মাণ-সহ রেলের একাধিক দাবি নিয়ে গণকনভেনশন এবং পথ অবরুদ্ধ করে মানববন্ধনের শামিল হয়েছিলেন বেলদা রেলযাত্রী এবং নাগরিক কল্যাণ সমিতি। বেশ কয়েকদিন আগে রেলের ওভার ব্রিজ নির্মাণ নিয়ে তৎপরতা দেখিয়েছিলেন নারায়ণগড় বিধানসভার বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট।
তবে প্রতিদিন বিপদ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। তৃতীয় লাইন চালু হওয়াতে বেড়েছে ট্রেনের সংখ্যা। স্বাভাবিকভাবে গেটে এসে দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে সর্বাধিক আধঘণ্টা পর্যন্ত। স্বাভাবিকভাবে কবে এই সমস্যার সমাধান হয় তা বলবে সময়।
রঞ্জন চন্দ





