ক্যানিংয়ের সব থেকে প্রাচীন এই স্কুলের নামডাক বরাবরই রয়েছে। মহকুমার মধ্যে এই স্কুল ভাবনা চিন্তা, পড়ুয়াদের সঠিক শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাঁদেরকে খেলাধুলা বা সংস্কৃতিতে এগিয়ে দিয়েছে বরাবর। প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়া সম্বলিত এই স্কুলে যাতে কোন পড়ুয়ার সঙ্গেঅপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজরদারি চালাতে যেমন ৬৪ টি সিসি টিভি ক্যামেরা দিয়ে গোটা স্কুল চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে, তেমনি এবার পড়ুয়ারা স্কুলে আসছে কিনা, কখন আসছে, স্কুল থেকে কখন বেরিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে সঠিক সময়ে বার্তা পৌঁছে যাবে অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে। এই ধরনের প্রযুক্তি আগেও বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হলেও তার তুলনায় এই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম অনেক বেশি উন্নত বলেই দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের।
advertisement
আরও পড়ুন: জল সরবরাহের পাইপলাইন বসাতে খোঁড়া যাবে না রাস্তা, জানুন
ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই এই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয় ভাবেই শনাক্ত করতে পারবে ঐ পড়ুয়াকে। পরিচয় পত্র কোথাও দেখানো বা ছোঁয়ানোর প্রয়োজন হবে না এবং যেমন স্কুলের লকবুকে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হবে, তেমনি তার পরিবারের কাছেও মেসেজ পৌঁছে যাবে যে সন্তান স্কুলে প্রবেশ করেছে। একইভাবে স্কুল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও মোবাইল মারফৎ বার্তা পেয়ে যাবেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় অনেক অভিভাবকই সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। তখন থেকেই এই ধরনের কিছু প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছিল স্কুল।
এই প্রযুক্তি স্কুলে স্থাপন করতে অভিভাবকরাই খরচের সিংহভাগ বহন করেছেন। সরকারি স্কুলে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি করে নিয়মানুবর্তী করে তুলবে বলেই দাবি স্কুল কতৃপক্ষের । আগামীদিনে স্কুলে আরও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে দাবি তাঁদের।
সুমন সাহা