মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাটা-দাবি প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ''একমাত্র সিপিআইএম-এর জন্যেই টাটা চলে গেছে, এই দাবিতে আমি সহমত পোষণ করিনা। সিঙ্গুর আন্দোলনকারী রূপে আমরা যারা নেতৃত্বে ছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য দলসহ সবাই মিলে যে ধর্না মঞ্চ করে যে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল, মূলত সেই কারণেই টাটা চলে গিয়েছে।''
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের টাকার পাহাড়! উল্টোডাঙায় রাতভর তল্লাশিতে উদ্ধার কোটি-কোটি টাকা! বিরাট অভিযান
advertisement
এখানেই থামেননি সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই। তাঁর সংযোজন, ''তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধির সামনে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি বাতিল করে পরবর্তীকালে পলিটব্যুরো যে শর্ত দিয়েছিল, সেই সম্পর্কিত কথাবার্তাটা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। রতন টাটা চলে গেছেন মূলত ধর্না মঞ্চের আন্দোলনের প্রবল রূপের কারণেই। তিনি বলে গিয়েছিলেন, সিঙ্গুরে আর কারখানা করব না। গোপালকৃষ্ণ গান্ধির সামনে হওয়া চুক্তিটিকে পলিটব্যুরো বাতিল করেছিলেন বলেই, সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সিপিএম ন্যানো কারখানা হতে দেয়নি। কিন্তু আমি মুখ্যমন্ত্রীর কথার সঙ্গে সহমত নই। কারণ চুক্তির প্রস্তাব টাটার কাছে যায়নি। রতন টাটা দেখেছিলেন চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি। আর সেই ঘটনাগুলো থেকেই নিরাপত্তার কারণে সম্ভবত তিনি এখান থেকে টাটা কারখানা সরিয়ে নিয়েছিলেন।''
আরও পড়ুন: 'সুকান্তকে মানি না', সাফ জানিয়ে দিলেন সৌমিত্র খাঁ! তাহলে কি বিজেপিতে ইতি? বিস্ফোরক সাংসদ
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার৷ ২০০৬ সালে জমি ঘেরার কাজ শুরু হওয়ার সময় থেকেই অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একটানা ২৬ দিন অনশনও করেন তিনি৷ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০০৮ সালের ৭ অক্টোবর সিঙ্গুর প্রকল্প বাতিল করার কথা জানিয়ে দেন টাটা গোষ্ঠীর তৎকালীন চেয়ারম্যান রতন টাটা৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে টাটাদের ন্যানো কারখানার প্রকল্প সরিয়ে যাওয়া হয় গুজরাতের সানন্দে৷