এই শোভাযাত্রায় ছিল বড় কালীও। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে বিভিন্ন বাজনা, আলোকসজ্জাও করা হয়েছিল দর্শনার্থীদের আনন্দ দেওয়ার জন্য। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পরেই প্রশাসনের প্রতি প্রতিবাদ জানানোর জন্য সমস্ত আলো বন্ধ করে দেন পুজো উদ্যোক্তারা। এই প্রসঙ্গে বড় কালী পুজো কমিটির সভাপতি অমিত মিশ্র বলেন, “এটা আমাদের প্রশাসনের প্রতি একটা প্রতিবাদ। আমরা সাড়ে আটটার সময় ভারত সেবাশ্রম সঙ্গে চলে এসেছি। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর বের করেছি। কিন্তু তা সত্বেও আজকে রাত্রি আড়াইটা অবধি ঠাকুর রয়েছে স্টেশনের মুখে, এতক্ষণ আমাদের চলে যাওয়ার কথা বাজারে।
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়িতে ছোট জায়গা বা ছাদ থাকলেই সবজি চাষ করে হবে আয়! ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে পথ দেখাচ্ছে সিএডিসি
এই ঐতিহ্যবাহী বড়কালী বহু মানুষ উপভোগ করতে পারল না। এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনের ব্যর্থতা। প্রশাসনকে বলব আপনারা আগামী দিনে এটা দেখুন যেন রাস সুষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ হয়। আমাদের এখানে গ্রামীণ রাস, মানুষ বেশি রাত পর্যন্ত থাকেন না। বড়কালী মানুষ দেখতে পেলেন না। সেই কারণেই আমাদের এই প্রতিবাদ।” রাত্রি প্রায় ১ টা নাগাদ সমস্ত আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে সভাপতি অমিত মিশ্র আরও জানিয়েছেন, কিছু কিছু ক্লাব অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছে। সেই কারণেই এটা হয়েছে। প্রশাসন সন্ধ্যে থেকে যদি এটার ব্যবস্থা নিত, তাহলে এটা কখনই হত না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দাঁইহাটের নবারুণ সংঘ অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও শোভাযাত্রার মূল স্রোতে ঢুকতে পারেন নি। সেই কারণে তাঁরা তাঁদের শোভাযাত্রা উল্টো পথে ঘুরিয়ে আবার ক্লাবের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়া ভিডিও অনুযায়ী, এই সম্পূর্ণ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে ক্লাব। রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে এবছর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ শহরে ভিড় জমিয়েছিলেন। শোভাযাত্রা দেখার জন্য এসেছিলেন দূর দূরান্তের বহু মানুষ। তবে শহরের একাংশ সঠিক ভাবে শোভাযাত্রা না দেখতে পাওয়ার কারণেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সূত্রের খবর অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে শহরের একাধিক জায়গায় নাজেহাল হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকেও।





