দোকানে এসে যে কেউ হাতে তুলে নিতে পারেন তার পছন্দের বই আর চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে হারিয়ে যেতে পারেন জ্ঞানের গভীরে। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন চা চত্বরের কর্ণধার দোকান ব্যবসায়ী সৈকত মণ্ডল ও তার দাদা লাল্টু মণ্ডল। তাদের অভিনব চিন্তাভাবনাতেই এই সাধারণ চা দোকান রূপ পেয়েছে অসাধারণ এক চা দোকানের। চা-চত্বরের খ্যাতি এখন শুধুই স্থানীয় মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দূর-দূরান্ত থেকেও বহু মানুষ ছুটে আসছেন এই বিশেষ চা-চত্বরে। তারা শুধু এক কাপ চা নয়, সঙ্গে নিচ্ছেন অনুপ্রেরণার চুমুকও।
advertisement
সৈকত ও লাল্টুর এই অসাধারণ প্রয়াসকে জানাচ্ছেন উষ্ণ অভিনন্দন। তবে চা চত্বরের চমক এখানেই শেষ নয়। এই দোকানে পাওয়া যায় আট রকমের চা, প্রতিটি চায়ের স্বাদে লুকিয়ে আছে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। স্বাদের গভীরে মিশে আছে অনন্যতা। চায়ের এই বৈচিত্র্য যেমন রসনাকে তৃপ্ত করে, তেমনই দৃষ্টি আকর্ষণ করে দোকানের অনন্য সাজসজ্জাও। বাঁশের চাটাই ও ঝুড়ির নান্দনিক ব্যবহারে ঘেরা দোকানের পুরো পরিবেশ। দোকানের দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌ নৃত্যের মুখোশ, যা স্থানীয় লোকসংস্কৃতির জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।
অন্য প্রান্তের দেওয়ালে স্থান পেয়েছে পুরুলিয়ার বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর আলোকচিত্র, যা দর্শকদের নিয়ে যায় পুরুলিয়ার মাটির অপার সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের গভীরে। ‘চা-চত্বর’ আজ শুধুই একটি দোকান নয়, এটি হয়ে উঠেছে সংস্কৃতি, জ্ঞান ও সামাজিক চেতনা বোধের এক মিলনক্ষেত্র।