তিনি কিছুদিন ধ্যান ও তপস্যায় নিযুক্ত থাকেন, তারপর একদিন রহস্যময়ভাবে অদৃশ্য হয়ে যান। তার প্রস্থানের পর স্থানীয় মানুষজন বিশ্বাস করেন সন্ন্যাসীর পদধূলিতে এই স্থান পবিত্র হয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় কালীপুজো করার উদ্যোগ। ঠিক সেই সময় আদ্রা সফরে এসে পড়েন কালীঘাটের স্বামী ব্রহ্মানন্দ গিরি মহারাজ। গ্রামবাসীদের আন্তরিক আহ্বানে তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে রাঙ্গুনী গ্রামের এই স্থানে দেবী কালীকে প্রতিষ্ঠা করেন এবং পুজোর সূচনা করেন।
advertisement
প্রথমে দেবীর জন্য নির্মিত হয়েছিল একটি ছোট বেদি, সেখান থেকেই শুরু রাঙ্গুনীর কালীপুজোর যাত্রা। ধীরে ধীরে ভক্তদের আন্তরিকতা ও ভালবাসায় গড়ে ওঠে আজকের মনোরম ও মহিমাময় রাঙ্গুনী কালীমন্দির। বর্তমানে এই পুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, রাঙ্গুনী গ্রামের সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক। পুজোর দিনগুলোয় গোটা গ্রাম ভক্তদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে। চারপাশে বাজে ঢাকের শব্দ, জ্বলে প্রদীপের আলো, আর ভক্তিময় পরিবেশে রাঙ্গুনী গ্রাম আলোকিত হয়ে ওঠে এই প্রাচীন পুজোর মহিমায়।
আরও পড়ুন : বর্গী দস্যু ভাস্কর পণ্ডিতের নাম জড়িয়ে আছে ২৫০ বছরের প্রাচীন এই কালীপুজোয়
নবদ্বীপ থেকে আগত স্বামী প্রেমানন্দ গিরি মহারাজ বলেন “একসময় এই জায়গা ছিল নির্জন ও ভয়াবহ। কেউ আসত না এখানে। কিন্তু সন্ন্যাসীর আগমনের পরই এই স্থান পবিত্রতা লাভ করে। পরে ব্রহ্মানন্দ গিরি মহারাজের হাত ধরেই এখানে কালীপুজোর সূচনা হয়, যা আজ এক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।” আজও সেই আধ্যাত্মিক আবহ ও ভক্তির জোয়ারে রাঙ্গুনী গ্রাম আলোকিত হয়ে থাকে বহু প্রজন্ম ধরে বয়ে চলা কালীপুজোর মহিমায়।