তাদের মধ্যে এক জন ক্লাস নবম শ্রেণীর ছাত্র নয়ন মাহাতো ও অন্য জন দশম শ্রেণীর ছাত্র প্রসেনজিৎ মাহাতো। দুজনেই দেশের প্রতি এমন ভাবনা-চিন্তাকে মাথায় নিয়ে মাগুড়িয়া গ্রাম থেকে দণ্ডী দিয়ে যাত্রাপথ শুরু করেছে বুধপুর শিব মন্দিরের উদ্দেশে। তাদের কথা ‘দীর্ঘ যাত্রাপথ এইভাবে দণ্ডী দিয়ে যেতে একটু কষ্ট তো হচ্ছেই। কিন্তু দেশের মঙ্গল কামনায় মহাদেবের কাছে এই ভাবে যেতে পারায় একজন ভারত মাতার সন্তান হিসেবে গর্ব বোধও হচ্ছে। বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই মিলে মিশে থাকুক আমরা এটাই চাই। আমাদের পরিচয় একটাই হোক আমরা মানুষ।’
advertisement
আরও পড়ুন: সাত দিন ধরে বন্ধ থাকা স্কুলে স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করছে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর
অন্যদিকে দেশের প্রতি দুই যুবকের এমন ভাবনাচিন্তার সঙ্গে নিজেদের আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষজন।জানা যায়, ছোট থেকেই তারা মহাদেবের চরম ভক্ত । দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে চারিদিকে যেভাবে মারামারি, হানাহানি চলছে তা তারা মাঝেমধ্যেই টিভির পর্দায় দেখতে পায়। তারপরেই মাথায় ভাবনা আসে বিশ্বে শান্তি ফেরাতে তাদের প্রিয় দেবতা মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করার।
তাই দণ্ডী দিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালতে দীর্ঘ যাত্রাপথ শুরু করল এবার তারা। আগামী সোমবার বুধপুর শিব মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢেলে মূলত এমনই প্রার্থনা করবে তারা। বিশ্ব শান্তির বার্তা জনসমক্ষে ছড়িয়ে দিতে নয়ন এবং প্রসেনজিতের এমন ভাবনাচিন্তা তাদের নিজেদের গ্রাম মাগুড়িয়া তো বটেই সমগ্র পুরুলিয়া জেলার বুকে এক অন্যতম নজির সৃষ্টি করল।