আরও পড়ুন: জমিদারের ভরসার লেঠেল আজও লাঠি ছাড়েননি, তবে অন্যভাবে কাজে লাগছে
পুরুলিয়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম জয়চন্ডি পাহাড়। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ও ট্যুরিজমের জন্য খুবই জনপ্রিয় এই পাহাড়। রক ক্লাইম্বিং ও নেচার স্টাডি ক্যাম্প সহ নানান অ্যাডভেঞ্চারের আমেজ উপভোগ করা যায় এখানে এসে। প্রতিবছর নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এখানে ভিড় করেন উঠতি পর্বতারোহীরা। পাহাড়ে ওঠার নানান কলা কৌশল শেখেন তাঁরা। প্রতিবছরই রাজ্যের বহু পর্বতারোহণ সংস্থা এখানে ক্যাম্প করে। আগে এখানে এলে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা সেইভাবে ছিল না। কিন্তু রাজ্য সরকার জয়চন্ডি পাহাড়কে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এখানে গড়ে উঠেছে যুব আবাস ও পথসাথী।
advertisement
১৯৭৮ সালে জগৎ বন্দিত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এখানেই তাঁর ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার শ্যুটিং করেছিলেন। তখন থেকেই এই পাহাড়ের সৌন্দর্যের টানে ছুটে এসেছেন বহু মানুষ।
এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, আগের তুলনায় অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে জয়চন্ডি পাহাড়। চারিদিক ভীষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ছবি তোলার জন্য দুর্দান্ত স্পট এটি। এই জায়গায় এলেই একেবারেই মন ভাল হয়ে যায় সকলের। ভীষণই অ্যাডভেঞ্চারাস আর চারিদিক খুবই সুন্দর। দুর্দান্ত জায়গা এটা। ঘুরতে আসার মজা চুটিয়ে উপভোগ করা যায় এখানে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
জয়চন্ডি পাহাড়ের উপরেই আছে মা চণ্ডীড় মন্দির। ৫২০-টা সিঁড়ি অতিক্রম করে এই মন্দিরে পৌঁছতে হয়। অনেকেই এই মন্দিরের পুজো দিতে যান জয়চন্ডি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে। আর এই পাহাড়ের উপরে উঠলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন ভরে যাবে আপনার। পুরুলিয়া ট্যুর প্ল্যানে থাকলে তাই অতি অবশ্যই আপনাকে আসতে হবে এই জয়চন্ডি পাহাড়ে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি





