গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বর পরপর দু-দিন বনদফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ওই নতুন চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছে। এই বনাঞ্চল চিতাবাঘের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে। এই বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরুলিয়া বনবিভাগ। ইতিমধ্যেই এ-বিষয়ে অরণ্য ভবনের কাছে আবেদন করেছেন পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ। বর্তমানে সিমনিতে চিতাবাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত-টি বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
এ বিষয়ে পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, তাদের কাছে আগে যা তথ্য ছিল সেখানে মোট ছয়-টি চিতাবাঘের উপস্থিতি ছিল। নতুন করে যে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘটি দেখা গিয়েছে সেটি বাইরে থেকে আগত। নতুন চিতাবাঘের আগমনে বনাঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র সমৃদ্ধ হবে। চিতাবাঘের বংশবিস্তার ঘটবে। এটি তাদের কাছে খুশির খবর।
২০২২ সালের প্রথমদিকে বনবিভাগের ট্র্যাপ ক্যামেরায় পুরুষ ও মাদি দুই চিতাবাঘের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপরে এই বনাঞ্চলে জন্মায় দুটি চিতা শাবক। এছাড়াও আরও দুটি চিতাবাঘ রয়েছে এই এলাকায়। আবার নতুন করে পুরুষ চিতাবাঘের আগমন হয়েছে। অর্থাৎ বনবিভাগের তথ্য অনুযায়ী আগের ছয়টি চিতাবাঘ ও সম্প্রতি কালে আসা নতুন এই চিতাবাঘ। সবমিলিয়ে সাত-টি চিতাবাঘ রয়েছে কোটশিলা বনাঞ্চলে সিমনি বিটের জঙ্গলে। এই বনাঞ্চল এখন চিতাবাঘের সংসারে পরিণত হয়েছে। বনবিভাগ তৎপরতার সঙ্গে গোটা এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে। গ্রামবাসীদের গভীর বনে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।






