বর্তমানে গ্রামের মহিলারা স্বনির্ভর হওয়ার পথ পেয়েছেন হস্তশিল্পের মধ্যে দিয়ে। খেজুর গাছ ও বাঁশ গাছের পাতা দিয়ে তারা তৈরি করছেন ঝাড়ু। এই ঝাড়ুর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। সাংসারিক কাজ সামলে তারা প্রতিদিনই এই ঝাড়ু তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। ঝাড়ু তৈরির মধ্যে দিয়েই লক্ষ্মী লাভ হয় তাদের।
advertisement
এ বিষয়ে হাড়জোড়া গ্রামের শবর পাড়ার মহিলারা বলেন, গাছ থেকে তারা খেজুর পাতা ও বাঁশ পাতা সংগ্রহ করেন। তারপর সেগুলিকে শুকিয়ে কেটে ঝাঁটা তৈরি করেন। এক একটি ঝাঁটা তৈরি করতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লাগে। তারপর সেগুলিকে গ্রামে ঘুরে ঘুরে তারা বিক্রি করেন। হাটে বাজারে গিয়ে বিক্রি করার সাধ্য এখনও সকলের হয়ে ওঠেনি। ২০ টাকা পিস হিসাবে তাদের ঝাঁটা বিক্রি হয়। তা দিয়েই সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বলরামপুরে হাড় জোড়া গ্রামের শবর পাড়ার প্রায় ৩২-টি পরিবারের বসবাস। প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন তারা। তবুও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের হাত ধরে তাদের পরিস্থিতির খানিকটা বদল ঘটেছে। তারাও প্রতিনিয়ত রুটি রুজির বিকল্প পথ খুঁজছেন। তার মধ্যে এই ঝাঁটা তৈরি যেন তাদের কাছে আসার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।





