TRENDING:

Inspiration: ৪০ বছরের কর্মজীবন কাটানো হাসপাতালেই মৃত্যুর পর চিরতরে ফিরে গেলেন সেবিকা

Last Updated:

Inspiration: দীর্ঘ ৪০ বছর যে হাসপাতালে কর্মজীবন অতিবাহিত করেছিলেন , সেখানেই চিরতরে নিজেকে উৎসর্গ করলেন এই বাম নেত্রী !

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া : মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমে মৃত্যুর পরেও নিজেকে উৎসর্গ করে থাকেন অনেকেই। এমনই মহৎ কাজে করেছিলেন পুরুলিয়া শহরের নীলকুঠিডাঙা এলাকার বাসিন্দা তথা বাম কর্মচারী আন্দোলনের প্রবীণ নেত্রী মমতা রায়। বুধবার পরিবারের ইচ্ছাতেই পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হয়।
মরণোত্তর দেহ দান
মরণোত্তর দেহ দান
advertisement

টানা ৪০ বছর ধরে এই হাসপাতালেই সেবিকা হিসাবে রোগী পরিষেবা দিয়েছেন তিনি। সেই হাসপাতালেই মৃত্যুর পর তাঁর দেহ দান করা হল। এ বিষয়ে তার ছেলে সুমিত রায় বলেন, “মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারের নথিপত্রে নিজের ইচ্ছাতেই মা স্বাক্ষর করেছিল। আর তাঁর ইচ্ছা মতোই পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হাতে মায়ের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। ৪০ বছর এই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। তাই মৃত্যুর পরেও তাঁর ইচ্ছামতই সেখানেই ঠাঁই হল।’’

advertisement

প্রায় ৭২ বছর বয়সি মমতা রায় তাঁর কর্মজীবন অতিবাহিত করেছিলেন পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে। সেবিকার পেশা থেকে অবসর গ্রহণের পরেও বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থাকে তিনি সাহায্য করে যেতেন। কখনও সামাজিক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে , আবার কখনও নিজস্ব পরিচিতির গণ্ডি থেকে। তিনি আমৃত্যু বামপন্থী কর্মচারী আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও সংগঠনের যে-কোনও কর্মসূচিতে নিয়মিত হাজির থাকতেন।

advertisement

View More

ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন দক্ষতার সঙ্গে। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি পুরুলিয়া জেলার সহ-সভাপতি ছিলেন এক সময়। পরবর্তী সময়ে পেনশনার্স সমিতির জেলা কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন।

আরও পড়ুন : ঠেলাগাড়িতে খাবার বেচে রোজগার! রাতারাতি কোটিপতি হয়ে জীবন পাল্টে গেল যুবকের

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে স্নায়বিক রোগের সমস্যায় ভুগছিলেন মমতা রায়। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পুরুলিয়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়। আর বুধবার পরিবারের সম্মতিতে ও তার শেষ ইচ্ছা মতোই তাঁর দেহ দান করা হয়।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Inspiration: ৪০ বছরের কর্মজীবন কাটানো হাসপাতালেই মৃত্যুর পর চিরতরে ফিরে গেলেন সেবিকা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল