এই দিন বরাবাজার রাজবাড়ি থেকে শ্রীশ্রী রাধা বৃন্দাবন চাঁদকে পুরোহিত সহকারে রথে চাপিয়ে খোল কীর্তন বাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শুখনিবাসার জঙ্গলে। সেখানে রয়েছে রাধা বৃন্দাবন চাঁদের মন্দির। এই মন্দিরে পুজো করা হয় তাদের। তারপরে সেখানেই ভোগ রান্না করে সেই ভোগ এলাকার সমস্ত ভক্তবৃন্দদের মধ্যে বিলি করা হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে মেলাও। বরাবাজারের অন্যতম উৎসব শ্রী শ্রী রাধা বৃন্দাবন চাঁদের বনভোজন। ৮ থেকে ৮০ সকল বয়সি মানুষএই দিন ভিড় জমান এই বনভোজনে। এই দিন সন্ধ্যায় পুনরায় রাধা বৃন্দাবন চাঁদকে রথে বসিয়ে রাজবাড়ি উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
সারাটা বছর বরাবাজারের মানুষ এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন। বছরের এই একটা দিনে শুখনিবাসার জঙ্গলে রাধা বৃন্দাবন চাঁদ আসেন এবং তাকে ঘিরে রীতিমত উৎসবের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দীর্ঘ প্রায় চার শতাব্দী ধরে এই উৎসব পালন হয়ে আসছে এমনটাই জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিত বলেন , প্রতিবছরই এই উৎসব পালন হয়ে থাকে। সারাটা বছর বরাবাজার এলাকার মানুষেরা এই উৎসবটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এ বছরও মহা ধুমধাম এর সাথে এই উৎসব পালিত হল অন্যান্য বছরের তুলনায় এ-বছর মানুষের সমাগম অনেকটাই বেশি ছিল।
এই উৎসবে আসা এক পূর্ণার্থী জানান, রাজবাড়ি থেকে রথে করে রাধা বৃন্দাবন চাঁদকে এই দিন নিয়ে আসা হয়। বহু মানুষের ভিড় জমান এই অনুষ্ঠানে। মেলাও বসে। তাদের খুবই ভালো লাগে এই উৎসবে শামিল হতে পেরে।
অভিনবভাবে মকর উৎসব পালিত হয় বরাবাজারে। এই দিন মানুষের সঙ্গে , সঙ্গে বনভোজন উৎসবে মেতে ওঠেন রাধা বৃন্দাবন চাঁদ। সারাটা বছর গোটা বড়বাজারবাসী অপেক্ষা করেন এই দিনটির জন্যই।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়