পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরের ছোট্ট একটি দোকান থেকে শুরু হওয়া শান্তিরামের এই পথচলা আজ শুধু অভিজ্ঞতা নয়, তাঁর পরিশ্রম আর দক্ষতার গল্পও বলে। হারমোনিয়ামের প্রতিটি অংশে থাকে তাঁর নিখুঁত মাপজোক, যত্ন আর ভালবাসা। কাঠের টুকরো থেকে শুরু করে বেলো, চাবি, রিড, সবখানেই লেগে থাকে তার শিল্পীসুলভ গভীর নিবেদন। তাই তাঁর তৈরি যন্ত্রে শুধু সুরই জন্ম নেয় না, শোনা যায় তার দীর্ঘ ২৫ বছরের সাধনার প্রতিধ্বনি।
advertisement
আরও পড়ুন: উচ্ছেদ নোটিশ পেয়েও মুখে হাসি, রেলের জন্য ঘর ছাড়তেও প্রস্তুত! নদিয়ায় উলট-পুরাণ দেখে বাকরুদ্ধ অনেকেই
কাশীপুরের শিউলিবাড়ির বাসিন্দা ৫৩ বছর বয়সী শান্তিরাম দাস বৈষ্ণব বলেন, “নতুন হারমোনিয়ামের প্রথম সুর যখন আমার হাতেই বেজে ওঠে তখন হৃদয়টা ভরে যায়। এক একটা হারমোনিয়াম বানাতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগে। পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক খুব একটা বেশি না মিললেও এই কাজ আমাকে অন্য রকম আনন্দ দেয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আগামী দিনে এই ব্যবসাকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যেতে চান শান্তিরাম বাবু। তাঁর স্বপ্ন, পুরুলিয়ার মাটিতেই তৈরি হোক দেশের সেরা হারমোনিয়াম, আর সেই সুর পৌঁছে যাক যতদূর সম্ভব। সুর আর সাধনার সেই যাত্রায় তিনি আজও এগিয়ে চলেছেন অবিচল মন নিয়ে। আশা একদিন শিল্পীর স্বপ্ন পূরণ হবে।





