১৯৭৯ সালে পথ চলা শুরু হয়েছিল এই সিনেমা হলের। জেলার মধ্যে সবথেকে বড় পর্দা সিনেমাহল ছিল এটি। প্রত্যেক পুরুলিয়াবাসী জীবনের কোনও না কোনও সময়ে এই সিনেমা হলে এসেছেন সিনেমা দেখার জন্য। শুধু পুরুলিয়া শহর নয় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও অনেকেই এই সিনেমা হলে আসতেন সিনেমা দেখার জন্য।
advertisement
জেলার মানুষের কাছে নস্টালজিয়া এই সিনেমাহল। একসময় যেখানে হাসি, কান্না ও দর্শকদের করতালিতে ভরে থাকত এই সিনেমা হল, আজ সেখানে রয়েছে শুধুই শূন্যতা। ভাঙাচোরা স্ক্রিন। জরাজীর্ণ দেওয়াল। সিনেমা হলের চেহারা দেখে মনে হবে ভুতুড়ে কোনও বাড়ি।
২০১৪ সালের বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই শঙ্কর চিত্রায়ন। কর্মসংস্থান হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই শঙ্কর চিত্রায়নের প্রাক্তন ম্যানেজার উজ্জ্বল ভূঁই বলেন, পুরুলিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ সিনেমা হল ছিল এটি। শেষবার এই সিনেমা হলে আরোরা সিনেমা চলেছে। আইনি জটিলতার কারণে সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
বহু প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও এই সিনেমা হলে সিনেমা দেখে গিয়েছেন। মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে রয়েছে এই হল। সরকার যদি কোনও উদ্যোগ নেয় তাহলে আবারও এই সিনেমা হলে সিনেমা চলবে। এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বলেন তাঁদের কাছে এই শঙ্কর চিত্রায়ন একটা আবেগ। নিম্নবিত্ত মানুষদের পক্ষে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তাই তারা চাইছেন পুনরায় এই সিনেমা হল চালু হোক। তাহলে সমস্ত শ্রেণীর মানুষেরা সিনেমা দেখতে পারবেন। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। জেলার মানুষদের নস্টালজিয়া শঙ্কর চিত্রায়ন। বহু সিনেমার সাক্ষী এই সিনেমা হল। তাই শহরবাসী চাইছেন পুনরায় দরজা খুলুক শঙ্কর চিত্রায়নের।