তাঁর দাবি, “সে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। বয়স অনুযায়ী শারীরিক গঠন সম্পূর্ণভাবে বিকশিত না হলেও সে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন করছে। নিয়মিত কলেজে পড়াশোনা করছে এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে তার কোনও মানসিক সমস্যার প্রমাণ নেই। তবুও কীভাবে তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে শংসাপত্র দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিয়া। পিয়ার বক্তব্য, “আমি প্রতিদিন কলেজে যাতায়াত করি, পড়াশোনা করি এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করি।
advertisement
সেখানে আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলা সম্পূর্ণ ভুল ও অযৌক্তিক।” এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এবং দ্রুত শংসাপত্র সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে কলেজ ছাত্রী পিয়ার বাবা গৌতম দাস বলেন, “হঠাৎ করে দেখি মেয়ের প্রতিবন্ধী শংসাপত্রে মানসিক ভারসাম্যহীন লেখা রয়েছে। অথচ সে মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ। এই ভুল শংসাপত্র ওর ভবিষ্যৎকে বিপদের মুখে ফেলছে।” তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে অবিলম্বে সংশোধনের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. অশোক বিশ্বাস। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার দায়িত্ব ও শংসাপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতার দাবি উঠেছে। এখন দেখার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কবে এবং কীভাবে এই ভুল সংশোধন করে ওই ছাত্রীর ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়।





