জানা যায়, পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরের গোবরন্দা গ্রামের বাসিন্দা বিবেক চক্রবর্তী আজ থেকে ৩৭ বছর আগে অভিমানে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজি করেও বিবেকের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। তারপর কেটে গেছে একে একে ৩৭ টি বছর। তারপরই কিছুদিন আগে বিবেক চক্রবর্তীর ছেলে হঠাৎ করেই একটি ডাইরিতে থাকা ফোন নম্বরে বিবেক চক্রবর্তীর ভাইকে ফোন করে।সে জানতো না যে সেই ব্যক্তি তার নিজেই কাকা হয়। তারপরই ফোনে পরিচয় হলে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়।তারপরেই পরিবারের নিখোঁজ ছেলে বিবেক চক্রবর্তী ফিরলেন বাড়িতে। তবে আজ সে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ।
advertisement
জানা যায়, এতদিন বিবেক চক্রবর্তী কলকাতায় থাকতেন এবং একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি অবসর নিয়েছেন। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে তার জীবনে অনেক কিছুই বদলে গেছে। সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় আগে বিবেকবাবু যখন ঘর ছেড়েছিলেন তখন তার বাবা-মা সকলেই ছিলেন। বাবা অনেকদিন আগে মারা গেলেও গত তিন মাস হল মা-ও গত হয়েছেন। একথা শুনে শত আনন্দের মাঝেও মন ভারাক্রান্ত ঘরছাড়া বড় ছেলে বিবেকের।
বাড়ি ফিরে বিবেক চক্রবর্তী জানান, “এতগুলো বছর পর বাড়ি ফিরে খুবই ভালো লাগছে। অন্যদিকে বিবেক চক্রবর্তীর দাদা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, “দাদা প্রথমে যখন বাড়িতে ফিরলেন তখন বাড়ির কেউই দাদাকে চিনতে পারিনি। কারণ যখন দাদা বাড়ি ছেড়েছিলেন তখন দাদা ছিল অনেকটাই ছোট, আজ ৩৭ বছরে দাদার অনেক পরিবর্তন এসেছে।” অবশেষে ৩৭ বছরের অপেক্ষার অবসান। ঘরছাড়া ছেলের ফিরে আসায় আনন্দে ভাসছে গোটা পরিবার, আর স্মৃতির ভারে আবেগে ভাসছেন বিবেক চক্রবর্তী নিজেও।





