আজ তার মুখে পশু-পাখির ডাক শুনতে গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারা ভিড় জমায়। শুধু তাই নয়, তার অবিকল পাখির ডাক শুনে ছুটে আসে পাখিও। নিজের প্রতিভা সম্পর্কে হরবোলা সুবল পরামানিক বলেন, “জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার মধ্যে এই প্রতিভা আছে। আজ গ্রামজুড়ে সবাই আমাকে হরবোলা সুবল হিসেবেই চেনে। যখন আমি গ্রামের মধ্যে এই ডাক করি, ছোট ছোট বাচ্চারা আমাকে ঘিরে ভিড় করে।
advertisement
আরও পড়ুন: কালো, নোংরা নর্দমায় দিনরাত চলে খোঁজ, হাঁটু জলে নেমে হয় রান্নার জোগাড়! শিল্পতালুকে কঠিন জীবন সংগ্রাম
তাদের মুখে আনন্দের হাসি দেখলে আমারও ভাল লাগে। আমার ডাকে যদি তাদের মন ভাল হয়, তার চেয়ে বড় আনন্দ আমার আর নেই।” তবে আনন্দের পাশাপাশি সংসারের টানাপোড়েনও রয়েছে। তিনি জানান, “বর্তমানে আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল নয়। সেলুনের কাজ করি, আবার একটি বাউল দলের সঙ্গেও যুক্ত আছি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোনওরকমে সংসার চলে। তবুও চাই, আমার এই প্রতিভা আরও মানুষের কাছে পৌঁছক, আর আমি এইভাবেই গ্রামবাসী ও শিশুদের আনন্দ দিতে পারি।” পুরুলিয়ার ছোট্ট ক্রোশজুড়ি গ্রামের হরবোলা সুবল পরামানিক আজ তাঁর অনন্য প্রতিভার জোরে সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর সুরে ভরা সেই বিচিত্র পশুপাখির ডাক শুনতে এখনও মুখিয়ে থাকে গ্রামের শিশু থেকে বড় সকলেই।





