ইতিমধ্যেই ঝালদা, মাঠা ও বলরামপুরের বিভিন্ন বনাঞ্চল পরিদর্শন করে দেখেছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যান রুদ্র। ঝালদার কুটিডি প্ল্যান্টেশন এলাকায় গাছের বৃদ্ধির অবস্থা ও পরিচর্যার কাজ খতিয়ে দেখেন। বন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে আগামী দিনে বহু পরিকল্পনার কথা আলোচিত হয়। এ বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যান রুদ্র বলেন, একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শীতের সময় পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলি থেকে যে হাওয়া বয়ে আসে, তাতে দূষণের মাত্রা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : রেকর্ড ধান উৎপাদন পুরুলিয়ায়, খুশিতে ডগমগ কৃষকরা! ‘টার্গেট’ পূরণ হবে, আশায় কৃষি দফতর
তাই সেই দূষণ প্রতিহত করতে গাছ পাঁচিল দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। এতে দূষণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, এ-বছর জেলার প্রায় ৪০৭ হেক্টর জমিতে ৭ লক্ষেরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। সেখানে দেশি গাছের সংখ্যা অনেকটাই বেশি রয়েছে। আগামী তিন বছর ধরে এই গাছ গুলির পরিচর্চা করা হবে। বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে সবুজ পাঁচিল নির্মান করা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এতে শুধু পরিবেশ রক্ষা হচ্ছে তাই নয়। স্থানীয় কর্মসংস্থানের নতুন দিশা খুলছে। যেভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় করে অনেকে চীনের প্রাচীর দেখতে যায়, একটা সময়ের পর পুরুলিয়ায় গাছ প্রাচীর দেখতে আসবেন পর্যটকেরা। বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দূষণের প্রভাব অনেকটা বেশি রয়েছে। সেই প্রভাব কিছুটা কমাতে এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গাছ পাঁচিল হল একটি গাছকে অন্যান্য লতান প্রজাতির গাছ দিয়ে ঘিরে দেওয়া। এই গাছ পাঁচিল পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।





