মঙ্গলবার সকালে বেলগুমা এলাকার একটি জলাশয় স্নান করতে নামেন কৌশিক বিশ্বাস, তার দুই ছেলে ও পরিবারের আরও দু-জন সদস্য। হঠাৎ করেই জলের মধ্যে ডুবে যেতে শুরু করেন বছর ৪৬-এর কৌশিক বিশ্বাস ও তার বড় ছেলে বছর ১৮’র হেমাংশু বিশ্বাস। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন বাকিরা। কিন্তু কোনওভাবেই তাদেরকে উদ্ধার করা যায়নি। এরপরই পরিবারের সদস্যরা খবর দেন টামনা থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় টামনা থানার পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে মাছের রাজা, স্বাদে ফেল ইলিশও! সেই মাছের মড়ক, তিস্তায় ভেসে উঠছে শয়ে শয়ে
সঙ্গে পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় তাঁদের দু-জনকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্ণমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্য অমৃতময় মজুমদার বলেন, তার ভাগ্নে কৌশিক বিশ্বাসকে তিনি জলে নামতে বারণ করেছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু সকলকে উপেক্ষা করেই সে পুকুরে স্নান করতে যায়। সাঁতার না জানার কারণে পুকুরের গভীর জলে তলিয়ে যায়। শুক্রবার তাঁদের কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই হল এই মর্মান্তিক পরিণতি। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্ণমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের হাতওয়ারা মর্গে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।






