আরও পড়ুনঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের পিছনে ধাক্কা আর একটি বাসের! আহত ২৫ জন চিকিৎসাধীন
বাঁকুড়া জেলার কারিগর আশুতোষ কর্মকারের কারিগরি দক্ষতায় লোহা ও পিতলের সংমিশ্রণে নির্মিত হয়েছিল এই রথটি। এই রথের প্রতিষ্ঠা করেন এক ধর্মপ্রাণা বাইজি মনমোহিনী বৈষ্ণবী তথা মনি বাই। তিনি চকবাজারে প্রথমে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাধাগোবিন্দ জিউর মন্দির। ওই মন্দিরের রাখা বিগ্রহ রথেরদিন রথের উপর অধিষ্ঠিত হয়। এবং সেই রথ শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে। পুরুলিয়া চক বাজারে বাসিন্দা নন্দলাল দত্ত কয়াল পরিবার ১৯২২ সাল থেকে বংশ পরম্পরায় এই মন্দির ও রথের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বভার পালন করে আসছেন।
advertisement
এ বিষয়ে দত্ত পরিবারের বর্তমান উত্তরসূরী শচী দুলাল দত্ত জানান, তাঁরা বংশ পরম্পরায় এই রথযাত্রা পালন করে আসছেন এ বছর এই রথযাত্রা ১১৩ তম বর্ষে পদার্পণ করল। প্রতিবছরের মত এ বছরও ধুমধাম এর সঙ্গে রথযাত্রা পালিত হবে। এখন থেকেই রথে রং ও সাজানোর কাজ চলছে। এই রথ তাঁদের কাছে খুবই ঐতিহ্যপূর্ণ।
মনি বাইয়ের হাতে এই রথের সূচনা হয়েছিল। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে এতগুলো বছর। কিন্তু আজও পুরুলিয়ার চকবাজারের এই রথ নিজের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। রথের দিন দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষের সমাগম হয় এই এলাকায়। একপ্রকার মেলার আয়োজন হয়। পুরুলিয়াবাসীর আবেগের সঙ্গে মিশে রয়েছে এই রথযাত্রা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি