পুরুলিয়ার বিশিষ্ট কবি শান্তিপ্রিয় গুরু, সত্যবান তন্তুবাই বলেন, “পুরুলিয়ার সংস্কৃতি জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। তাঁর অবদান এই জেলার সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক জগতকে চিরদিন স্মরণীয় করে রাখবে।” জানা যায়, লোকসংস্কৃতির গবেষক দিলীপ কুমার গোস্বামী ১৯৫৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার কাশীপুরের সুতাবই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জ্ঞানেন্দ্রনাথ ও মাতা সর্বমঙ্গলার ঋদ্ধ সন্তান তিনি। গ্রামের পাঠশালা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নেন, পরবর্তীতে সোনাথলী-কালাপাথর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং রাঁচী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
advertisement
১৯৭৯ সালে তিনি গড়জয়পুর আর বি বি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ তাকে বহু বছরের গবেষণায় নিয়োজিত রেখেছিল। তিনি হরিপদ সাহিত্য মন্দিরের সংগ্রহশালার সঙ্গে প্রায় ১৮ বছর যুক্ত থেকে পুরুলিয়ার অতীত ও ঐতিহ্যের সন্ধান চালিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তার সম্পাদিত গ্রন্থগুলি হল ‘পঞ্চকোটের ইতিহাস’, ‘মানভূমের ঝুমুর’ ‘পুরুলিয়া জেলার থানাগুলির ইতিহাস’, ‘প্রশ্নোত্তরে মানভূম-পুরুলিয়া’, ‘মানভূমের সাধক ও সাধনস্থল’, প্রবন্ধ কুসুমাঞ্জলি’, ‘মানভূমে সুভাষচন্দ্র’, ‘মানভূমে মাইকেল মধুসূদন’, ‘মানভূমের স্বাধীনতা আন্দোলন’, ‘সীমান্ত রাঢ়ের লোকসংস্কৃতি’। দিলীপ কুমার গোস্বামী শুধুই গবেষক ছিলেন না, তিনি ছিলেন পুরুলিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতির জীবন্ত অভিধান। তাঁর অবদান এই জেলার সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক জগতকে চিরদিন স্মরণীয় করে রাখবে।






