আরও পড়ুনঃ খেলাই তাঁদের ধ্যান-জ্ঞান! জঙ্গলমহলের মেয়েরা ‘বল’ নিয়ে দৌড়াচ্ছে মাঠে, চোখে বিশ্বকাপের স্বপ্ন
তবে এই বিদ্যালয়ে নেই কোনও পাকা ঘর। মাটির ঘরেই থাকতে হয় বাচ্চাদের। মেলে না কোনও সরকারি সহযোগিতা। পাহাড়তলীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে কচিকাচারা এই আবাসিক স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে। তার জন্য দিতে হয় ৬৫০ টাকা করে। এখানে রয়েছে ছয় জন শিক্ষক ও এক জন রাঁধুনি। স্বল্প খরচে মাধ্যমিক পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন মদন হাঁসদা।
advertisement
এ বিষয়ে এক অভিভাবক শুকুরুনী টুডু বলেন, এই বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন খুবই ভাল হয়। তাই তারা দূর থেকে হলেও ছেলে-মেয়েদের এই বিদ্যালয়ে পাঠান। তিনি চান, এই বিদ্যালয়ে দালান ঘর তৈরি হোক।
আরও পড়ুনঃ মরেও ‘শান্তি’ নেই এখানে! ভরা বর্ষায় খোলা আকাশের নীচে দেহ দাহ, কোথায় এমন দুর্ভোগ জানেন?
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিহির হেমব্রম বলেন, নির্দিষ্ট কোনও পারিশ্রমিক নেই তাঁদের। যখন যেমন অর্থ মেলে সেই ভাবেই তিনি শিশুদের পঠন-পাঠন করান। মূলত মদনবাবুর এই মহৎ উদ্দেশ্যে পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এগিয়ে এসেছেন তিনি। এ বিষয়ে ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেকটর স্কুল প্রাইমারি এডুকেশন কানাইলাল বাঁকুড়া বলেন, মদনবাবু যে কাজ করছেন তা খুবই ভাল একটি উদ্যোগ। তাঁর এই কাজকে সাধুবাদ জানান তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অযোধ্যা পাহাড়ের শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালাতে এগিয়ে এসেছেন মদন হাঁসদা। নানান প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েও থেমে থাকেননি তিনি। চালিয়ে গিয়েছেন নিজের কর্মযজ্ঞ। সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে আরও ভালভাবে শিশুদের জন্য কাজ করতে চান মদন হাঁসদা।