পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরের প্রচুর কর্মকার পরিবার বহু দশক ধরে একই নিষ্ঠায় এই শিল্পকে বহন করে আসছেন। আজও তাঁদের হাতেই তৈরি হয় দৈনন্দিন জীবনের অগণিত প্রয়োজনীয় লোহার সরঞ্জাম। সময় যতই বদলাক, যন্ত্রের দাপটে কমে যাক হাতের কাজের কদর, তবুও তাঁদের হৃদয়ের টান, শিল্পের প্রতি অগাধ ভালবাসা ও পরিশ্রমের দীপ্তি এখনও অটুট।
advertisement
প্রায় সত্তর বছর বয়সেও কাশীপুরের প্রবীণ লৌহশিল্পী সুভাষ কর্মকার থামিয়ে রাখেননি হাতুড়ির ঘা। বয়স তাঁকে ক্লান্ত করার চেয়ে তাঁর ইচ্ছাশক্তিকে আরও বেশি দৃঢ় করেছে। এই লোকজ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার অনুপম প্রত্যয়ই তাঁকে আজও কর্মঠ, প্রাণবন্ত ও অনুপ্রেরণার প্রতীক করে রেখেছে। তাঁর কথায়, “৪০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছি। এই কাজে পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি তেমন মেলে না ঠিকই, কিন্তু পুরনো পেশা কোনওরকমে আঁকড়ে ধরে চলেছি, এটাই তো আমাদের চিহ্ন, আমাদের পরিচয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলার এই মানুষগুলির কাছে এই লৌহশিল্প কেবল এক পেশা নয়, এ এক উত্তরাধিকার, এক সংগ্রামের গল্প, এক অবিনাশী গর্ব। সেই সঙ্গেই বেঁচে থাকার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ভরসা।





