প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর বন্য হাতির আক্রমণে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় পুরুলিয়ার ঝালদা রেঞ্জের অধীনে ডাকাই গ্রামের বাসিন্দা বাদোবালা গোপে নামে ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার। হঠাৎই একটি বুনো হাতির আক্রমণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার
আরও পড়ুনঃ কলকাতার আদলে পুরুলিয়ায় ক্রিসমাস কার্নিভাল! বড়দিন থেকে বর্ষবরণ উৎসবের বিরাট আয়োজন, রইল ঝলক
advertisement
এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন অন্যান্য গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার পর সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, বন্যপ্রাণীর আক্রমণে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসাবে মৃতার স্বামী শ্রী গোলক গোপেকে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় পুরুলিয়া বনবিভাগের পক্ষ থেকে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অযোধ্যা পাহাড়, ঝালদা, বাঘমুন্ডি, আড়শা ও জেলার সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে এই মুহূর্তে শাবক-সহ প্রায় ৪১টি হাতি রয়েছে। ঝালদার সীমানা লাগোয়া কলমার ওপারে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে বৃহস্পতিবার ১৮টি হাতির অবস্থান জেনে এই দলটিকে নজরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের রামগড়ের দিক থেকে একটি দলছুট হাতি রাতের দিকে কোটশিলা হয়ে ঝালদার খামারের জঙ্গলে ঢুকে পড়ায় এই বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন বনসংলগ্ন এলাকায় বন্য হাতির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও প্রশাসন ও বনবিভাগের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এইদিন ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করার সময় উপস্থিত ছিলেন এডিএফও সায়নী নন্দী, বাঘমুন্ডি বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো, ঝালদা থানার আইসি, বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, সংশ্লিষ্ট বন আধিকারিকরা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। তাঁরা সকলেই মৃতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।






